বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ত্রয়োদশ রাউন্ডে বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় শুক্রবার জমজমাট এক লড়াইয়ে আবাহনীকে ২-০ গোলে পরাজিত করেছে স্বাগতিক বসুন্ধরা কিংস। প্রথম পর্বে আবাহনীর কাছে হারের প্রতিশোধ এবার ফিরিয়ে নিল কিংস।

ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে দুই দলই মরিয়া ছিল গোলের জন্য। একাদশ মিনিটে ডিফেন্স ভেদ করে একাই চেষ্টা করেন রিমন হোসেন, তবে শটটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে হতাশা প্রকাশ করেন রাকিব হোসেন। তবে পাঁচ মিনিট পর সেই হতাশা উল্টে দেন রাকিব-ফাহিম যুগলবন্দি। রাকিবের বাড়ানো বলে নিখুঁত শটে গোল করে সাবেক ক্লাব আবাহনীর বিপক্ষে নিজের প্রথম গোলটি করেন ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। উদযাপনের সময় আকাশি-নীল সমর্থকদের উদ্দেশে করজোড়ে ক্ষমা চান তিনি।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আবারো রাকিবের পাস থেকে দারুণ কোনাকুনি শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ফাহিম। গোলরক্ষক মিতুল মারমা বল ছুঁতে পারলেও রুখতে পারেননি লক্ষ্যভেদ। এরপর কিংস একাধিক সুযোগ পেলেও ব্যবধান আর বাড়াতে পারেনি। ৮১তম মিনিটে ফাহিমের পাস থেকে সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন ইনসান আলি। ৮৭তম মিনিটে ইভান্স ইত্তির শট ফিরে আসে পোস্টে।

ম্যাচের যোগ করা সময়ে আবাহনীর আরমান ফয়সাল আকাশ গোলকিপারের মুখোমুখি হয়ে বল আকাশে উড়িয়ে দেন, ফলে ব্যবধান কমানো হয়নি আকাশি শিবিরের।

শেষ মুহূর্তে বলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সোহেল রানা ও আসাদুল মোল্লার সংঘর্ষ থেকে ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। হাতাহাতিতে জড়ান দুই দলের খেলোয়াড়রা। রেফারি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও সোহেল, সাদউদ্দিন ও শাহিন আহমেদকে লাল কার্ড দেখাতে হয়। ম্যাচ শেষে ডাগআউটে ফের উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। খেলোয়াড়, কর্মকর্তা ও সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ঘটে। দর্শকদের বোতল ছুড়ে মারার জবাবে আবাহনীর খেলোয়াড়দের চেয়ার ছোড়ার ঘটনাও দেখা যায়।

Previous articleলিগ শিরোপার আরো কাছে মোহামেডান; চমক দিল ঢাকা ওয়ান্ডারার্স!
Next articleহামজাকে দেখেই আগ্রহী হয়েছেন সমিত

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here