ড্র’তে শেষ বাংলাদেশ ভারত হাই ভোল্টেজ ম্যাচ। জয় দিয়ে রাঙানো হলোনা হামজার অভিষেক ম্যাচ। একের পর এক গোল মিসে গোল শূন্য ড্র’তেই সন্তুষ্ট থাকতে হলো বাংলাদেশ কে।

ম্যাচের শুরু থেকে ভারতকে চাপে রাখে বাংলাদেশ। বিগত সময়ের চেয়ে আজকের ম্যাচে অন্য এক বাংলাদেশকে চোখে পড়ছিলো। প্রথম থেকে প্রতিপক্ষের মাঠে বাংলাদেশ নিজেদের খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসতে শুরু করে। চাপে পড়া ভারত নিজে থেকে বাংলাদেশকে সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছিলো। এমনিভাবে ১২ তম মিনিটে ভারতের গোলরক্ষকের শটের মুখে শাকিল আহাদ তপুর বাধায় একেবারে ফাঁকায় থাকা মোহাম্মদ হৃদয় বল পেয়ে যান। বল পেয়ে গোলের দিকে ঠেলে দেন হৃদয়, তবে শুভাশিষের গোল লাইন ক্লিয়ারেন্সে সেই যাত্রায় রক্ষা পায় ভারত।

১৮ মিনিটে বাংলাদেশের সামনে আবারো গোল করার সুযোগ আসে। বক্সের পাশ থেকে মোরসালিনের ক্রসে ঠিকঠাক মতো মাথা ছোঁয়াতে পারলেই হয়তো গোলের স্বাদ পেতে পারতো বাংলাদেশ। তবে বাতাসে উড়ে আসে বলে মাথা লাগাতে পারে নি।

২২ মিনিটে পায়ে আঘাত পেয়ে মাঠ থেকে উঠে যান বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক তপু বর্মণ। তার জায়গায় মাঠে নামেন রহমত মিয়া। ম্যাচের বয়স বাড়ার সাথে সাথে ম্যাচে ফিরতে শুরু করে ভারত। সেই সুবাদে ৩১ মিনিটে গোলের দারুণ সুযোগ পায় তারা। লিস্টন কোলাসোর ক্রস থেকে উদান্তা সিং হেড থেকে আসা বলকে গোল লাইন ক্লিয়ারেন্স দেন রহমত মিয়া। ফিরতি বলে শট নেন ফারুক, তবে ফারুকের শট খানিকটা শুয়ে পড়ে আটকে দেন মিতুল মারমা। এভাবেই টানটান উত্তেজনায় প্রথমার্ধের খেলা গোলশূন্যতে শেষ হয়।

ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে চালকের আসন দখল করে নেয় ভারত। ম্যাচে হারানো আত্মবিশ্বাস আস্তে আস্তে ফিরে পেতে শুরু করে স্বাগতিকরা। ৬১ মিনিটে গোল পেতেও পারতো বাংলাদেশ। ভারতের গোলরক্ষকের ভুল পাস থেকে বল চলে আসে মুজিবুর রহমান জনির কাছে। বল নিয়ে খানিকটা উঠে এসে রাকিবকে উদ্দেশ্য করে কাটব্যাক করলেও দুর্বল গতির সেই কাটব্যাক ভারতের রক্ষণ দেয়ালেই আটকে যায়।

৬৩ মিনিটে কর্ণার থেকে আসা বল সুনীল ছেত্রীর গোলমুখে শট করে। তবে শটে সঠিক দিক না থাকায় বল গোলপোস্টের উপর দিয়ে চলে যায়। ৭২ মিনিটে ফারুকের শট খানিকটা কাঁপন ধরে দিয়েছিলো বাংলাদেশের বুকে। ডিফ্লেকটেড সেই শট কর্ণারের বিনিময়ে বারের পাশ দিয়ে চলে যায়। পরের মিনিটে কর্ণার থেকে উড়ে আসা বল শুভাশিষ হেড থেকে বলকে গোলে রাখতে পারলে গোল হয়তো এসেছেও যেতো।

৭৫ মিনিটে গোলের সুযোগ হেলায় হারায় বাংলাদেশ। মাঠের ডানদিক থেকে রাকিব হোসেনের দুর্দান্ত কাটব্যাক থেকে সহজ গোল করতে ব্যর্থ হয় ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। ৮৯ মিনিটে ফয়সাল আহমেদ ফাহিমের দূরপাল্লার জোরালো শট ডাইভ করে ভারতকে বাঁচিয়ে দেন গোলরক্ষক ভিশাল কাইত। ফলে ম্যাচের স্কোরলাইনে কোনো পরিবর্তন আসে না। রেগুলেশন টাইমের পাশাপাশি যোগ করা সময়েও আর গোল না আসলে গোলশূন্য ড্র দিয়েই শেষ হয় বাংলাদেশ ভারতের ঐতিহাসিক লড়াই।

Previous articleটানটান উত্তেজনায় বাংলাদেশ-ভারতের প্রথমার্ধ ড্র
Next articleম্যাচ না জেতার আক্ষেপ থাকলেও সতীর্থদের নিয়ে গর্বিত হামজা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here