বাংলার ফুটবলে আবাহনী-মোহামেডান দ্বৈরথ বেশ পুরনো। তবে সাম্প্রতিক সময়ে এই লড়াই হারিয়েছে জৌলুস। তারপরও মর্যাদার লড়াইয়ে কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলে না। তবে আজ কুমিল্লার ভাষাসৈনিক শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে এবারের মৌসুমের প্রথম ঢাকা-ডার্বিতে আবাহনীর কাছে পাত্তাই পায়নি মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব।

শুরু থেকে মোহামেডানকে চাপে রাখা আবাহনী ১১তম মিনিটে এগিয়ে যায়। তবে এই গোলে মোহামেডানের রক্ষণের ঢিলেমির দায়ও কম নয়। বাঁ দিক থেকে কলিন্দ্রেস যখন বল বাড়ান, তখনও বক্সে মোহামেডানের পাঁচ জন, কিন্তু কেউই পিটার নওরাহর পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারেননি। নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড প্রথম স্পর্শে বলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে জোরাল কোনাকুনি শটে খুঁজে নেন জাল। বিরতির আগ পর্যন্ত তেমন পরিষ্কার কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি মোহামেডান। বক্সের আশপাশে যা একটু ছোটাছুটি করেছেন সুলেমানে দিয়াবাতে, কিন্তু আবাহনী গোলরক্ষক শহীদুল আলম সোহেলের পরীক্ষা নেওয়া হয়নি তার। দ্বিতীয়ার্ধের দৃশ্যপটও প্রায় একই; জাফর-দিয়াবাতেরা ছিলেন নিজেদের ছায়া হয়ে।

দিয়ার্ধে ৫৮তম মিনিটের থ্রো ইনের নিয়ন্ত্রণ নিতে বক্সের ভেতর ভারসাম্য হারিয়ে পড়ে যাওয়ার আগে কোনোমতে বলে পা ছোঁয়াতে সক্ষম হন দানিয়েল কলিন্দ্রেস। আর তাতেই বল ঝাঁপিয়ে পড়া গোলরক্ষক আহসান হাবিবকে ফাঁকি দিয়ে জালে জড়ায়। ২ গোল হজম করে মোহামেডানের ঘুরে দাঁড়ানোর পথটা হয়ে যায় আরও কঠিন। ৭২তম মিনিটে প্রথম পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হয় আবাহনীকে। তবে কিছুটা ভাগ্যের ছোঁয়ায়, কিছুটা মোহামেডানের ব্যর্থতায় বেঁচেও যায় তারা। আবিদের ক্রসে দিয়াবাতের হেড সোহেল পুরোপুরি গ্লাভসে নিতে পারেননি। বল ক্লিয়ার করতে আলমগীর শট নিলেও তা চলে যায় বক্সের ভেতরে থাকা সাজ্জাদের পায়ে, মোহামেডানের এই মিডফিল্ডার ক্রসবারের উপর দিয়ে উড়িয়ে মেরে নষ্ট করেন সুবর্ণ সুযোগ। এরপর কেবল সময় গড়িয়েছে, মলিনতা কাটিয়ে উঠতে পারেনি মোহামেডান। যোগ করা সময়ে সাজ্জাদের কর্নার লাফিয়ে এক হাতের টোকায় ফেরান সোহেল। ফলে ২০২১ সালে লিগে সবশেষ ১-১ ড্রয়ের পর এ নিয়ে আবাহনীর কাছে টানা তিন ম্যাচ হারের তেতো স্বাদ নিয়ে মাঠ ছাড়ে মোহামেডান।

এদিকে দিনের অপর দুই ম্যাচে মুন্সিগঞ্জের শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লে. মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস অ্যান্ড সোসাইটিকে ২-০ গোলে হারিয়েছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র। মুক্তিযোদ্ধার হয়ে আমিনুর রহমান সজিব এবং এন্ডিকুমানা দুই অর্ধে দুটি গোল করেন।

এছাড়া ময়মনসিংহের রফিক উদ্দিন ভূইয়া স্টেডিয়ামে এএফসি উত্তরা বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করেছে চট্টগ্রাম আবাহনী। এএফসি উত্তরার হয়ে পেনাল্টি থেকে মমুনভ এবং চট্টগ্রাম আবাহনীর হয়ে পেনাল্টি থেকে সমতাসূচক গোলটি করেন ইফিয়াগু ডেভিড। প্রথমবার বিপিএল খেলতে আসা নবাগত এএফসি উত্তরার এটাই প্রথম পয়েন্ট।

Previous articleতিন বছরের জন্য নারী ফুটবলের দায়িত্বে বসুন্ধরা গ্রুপ
Next articleবসুন্ধরার জয়ের দিনে সমতায় শেষ হলো পুলিশ-ফর্টিস লড়াই

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here