ফিলিস্তিনের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের দুই ম্যাচের জন্য দলকে প্রস্তুত করছেন বাংলাদেশ কোচ হাভিয়ের ক্যাবরেরা। এবার দেশে কোন ধরনের ক্যাম্প না করে সরাসরি সৌদি আরবে গিয়ে অনুশীলন শুরু করেছে বাংলাদেশ দল। অনুশীলনের পাশাপাশি একই শহরে অনুশীলন ক্যাম্প করা আফ্রিকার দেশ সুদানের বিপক্ষে দুটি প্রস্তুতি খেলে বাংলাদেশ। গত ১১ মার্চ প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে সুদানের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে বাংলাদেশ। আর গতকাল দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচে সুদানের কাছে ৩-০ গোলে হেরেছে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। তবে প্রস্তুতি ম্যাচের ফলাফল ছাপিয়ে ফুটবলারদের পারফরম্যান্স নিয়ে সন্তুষ্টি ঝড়ছে হেড কোচ হাভিয়ের ক্যাবরেরার কণ্ঠে। প্রস্তুতি ম্যাচের ইতিবাচক দিকগুলো নিয়ে সামনে এগোতে চান তিনি।
গতকাল রাতে সৌদি আরবের কিং ফাহাদ স্পোর্টস সিটিতে ম্যাচের প্রথমার্ধে ১ গোল এবং দ্বিতীয়ার্ধে আরো ২ গোল হজম করে বাংলাদেশ। তবে ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ কোচের কণ্ঠে আত্মবিশ্বাসী সুর। ম্যাচ শেষে হাভিয়ের ক্যাবরেরা বলেন,
‘এই দুইটা ম্যাচ আমাদের ২১ মার্চ ফিলিস্তিনের বিপক্ষে ম্যাচের প্রস্তুতিতে বড় ভূমিকা রাখবে। এখানে আসার আগে যেরকম ছিলাম তার তুলনায় আমরা এখন অনেক ভালো অবস্থানে আছি এবং ভালো খেলছি। ২১ মার্চের জন্য আমরা এখন অনেকটাই প্রস্তুত।’
শারীরিকভাবে সুদান ও ফিলিস্তিন প্রায় একই রকম দল উল্লেখ করে এই দুই ম্যাচ নিজেদের প্রস্তুতিতে বড় ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন ক্যাবরেরা। তাই এই ইতিবাচক দিকগুলো নিয়ে এগিয়ে যেতে চান তিনি। ক্যাবরেরা বলেন,
‘আরেকটি প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ ম্যাচ খেললাম আমরা সুদানের মতো একটি শক্তিশালী দলের বিপক্ষে। শারীরিক শক্তি তুলনায় সুদান আর ফিলিস্তিন প্রায় কাছাকাছি। শারীরিক শক্তিতে ওরা আমাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে। তারপরো দলের সবাই জোড় লড়াই করে গেছে। আমি মনে করি দুটি ম্যাচ থেকেই ইতিবাচক অনেক কিছু মিলেছে আমাদের।’
সৌদি আরবে আর একদিন অনুশীলন করে আগামী ১৭ মার্চ কুয়েতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে বাংলাদেশ। কুয়েতের জাবের আল আহমেদ ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে আগামী ২১ মার্চ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের প্রথম লেগে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে মাঠে নামবে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। ঢাকার বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় দ্বিতীয় লেগ আগামী ২৬ মার্চ।