যদিও হামজা এখন ধারে শেফিল্ড ইউনাইটেডে। কিন্তু হামজার মূল ক্লাব লেস্টার সিটি,তার শুরু থেকে বড় হওয়ার পথ এই ক্লাবেই। এক সময় যেই ক্লাব প্রিমিয়ার লিগ জয়ের গল্প লিখেছিল, আজ সেই লেস্টার সিটিকে নামতে হচ্ছে দ্বিতীয় বিভাগে। চলতি মৌসুমের খারাপ পারফরম্যান্স আর ধারাবাহিক ব্যর্থতার ফল হিসেবে নিশ্চিত হয়েছে রেলিগেশন। শেষ নিশ্চিত ধাক্কাটা এসেছে লিভারপুলের বিপক্ষে ম্যাচে—যেখানে ট্রেন্ট আলেকজান্ডার-আর্নল্ডের দ্বিতীয়ার্ধের গোলে ১-০ ব্যবধানে হেরে বসে লেস্টার।

এই রেলিগেশনের সঙ্গে সঙ্গে একটি বিব্রতকর রেকর্ডও গড়েছে লেস্টার সিটি। প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে প্রথমবার কোনো দল ঘরের মাঠে টানা ৯ ম্যাচ গোল করতে ব্যর্থ হয়েছে। শুধু ইংল্যান্ডের শীর্ষ লিগ নয়, ইউরোপীয় ফুটবলের দৃষ্টিতেও এমন পরিসংখ্যান বিরল।

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফুটবলার হামজা চৌধুরীর জন্যও এটি একটি হতাশার খবর। চুক্তি শেষে ফিরতে হতে পারে লেস্টারে—যেখানে আগামী মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে খেলার সুযোগ থাকবে না। তবে শেফিল্ড যদি প্রমোশন নিশ্চিত করে এবং তাকে স্থায়ীভাবে দলে রেখে দেয়, তাহলেই কেবল আবার প্রিমিয়ার লিগে দেখা যেতে পারে এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারকে।

এদিকে শেফিল্ড ইউনাইটেডের সামনে সরাসরি প্রমোশনের পথও কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। ৪৩ ম্যাচ শেষে দলটির সংগ্রহ ৮৬ পয়েন্ট, যেখানে শীর্ষ দুই স্থানে থাকা লিডস ইউনাইটেড ও বার্নলির পয়েন্ট যথাক্রমে ৯১। বাকি আছে আর মাত্র ৩টি ম্যাচ। শেফিল্ডকে নিজেদের সব ম্যাচে জিততেই হবে, সঙ্গে তাকিয়ে থাকতে হবে প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোর ফলাফলের দিকে। শেফিল্ড গত কিছু ম্যাচ ধরেই কিছুটা ছন্নছাড়া পারফরম্যান্স দিচ্ছে,  হেরেছে গত ৪ ম্যাচের তিনটিতেই। এমন পারফরম্যান্স তাদের সরাসরি ইপিলে কোয়ালিফাই করার পথ অনেকটাই অসম্ভব করেছে। কিছু সুযোগ এখনো আছে ইপিল এ ফেরার।

হামজার শেফিল্ড এর লোন শেষ হবে ৩১ মে। যদি শেফিল্ডের সব সমীকরণ তাদের বিপক্ষে যায় তাহলে হামজার দুই ক্লাব-ই হয়তো খেলবে চ্যাম্পিয়নশীপে। তখন সে খেলবে কোন দলের হয়ে এটাও একটি ভাবার বিষয় ভক্তদের জন্য।

Previous articleফেডারেশন কাপ ফাইনাল: মুখোমুখি কিংস-আবাহনী
Next articleহামজার ওপর চড়াও বার্নলি সমর্থক ও খেলোয়াড়রা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here