উদ্বোধনী দিনের দিনভর নাটক শেষে অবশেষে মাঠে গড়ালো ফেডারেশন কাপ। ইতোমধ্যেই টুর্নামেন্টে নিজেদের না খেলার সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে বসুন্ধরা কিংস, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র ও উত্তর বারিধারা। টুর্নামেন্টের প্রথম দিনে প্রতিপক্ষ মাঠে না আসায় ওয়াক ওভার পেয়ে ৩ পয়েন্ট লাভ করে স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘ ও ঢাকা আবাহনী লিমিটেড। অবশেষে বল গড়ালো কমলাপুরের টার্ফে।রোববার কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহি মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে ‘সি’ গ্রুপের ম্যাচে বাংলাদেশ পুলিশ এফসির সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। সাইফের হয়ে গোল করেন রুয়ান্ডার ডিফেন্ডার এমেরি বাইসেঙ্গে, পুলিশকে সমতায় ফেরান আফগান ফরোয়ার্ড আমীরুদ্দীন শারিফি।

ফেডারেশন কাপের গত আসরের রানার্স আপ সাইফ স্পোর্টিংয়ের সঙ্গে শুরু থেকেই সমান তালে খেলে স্বাধীনতা কাপে চমক দেখানো বাংলাদেশ পুলিশ এফসি। ম্যাচের চতুর্থ মিনিটে ডিফেন্ডার নাসিরের বাড়ানো বল কাজে লাগাতে সাইফের নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড পারেনি এমফন উদোহ। নবম মিনিটে পুলিশের মরোক্কান মিডফিল্ডার আদিল কৌসকৌসের বাড়ানো বল বক্সে ফাকায় থেকেও নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেনি আফগান ফরোয়ার্ড আমীরউদ্দিন শারিফি। ১৪তম মিনিটে বক্সের খানিকটা সামনে থেকে মোনায়েম খান রাজুর হাতে বল লাগলে ফ্রি-কিক পায় সাইফ। মানব দেওয়ালের উপর দিয়ে জামাল ভুঁইয়ার বাঁকানো শট বা দিকে ঝাঁপিয়ে রক্ষা করেন পুলিশের গোলরক্ষক মোহাম্মদ নেহাল। ২৪মিনিটে সহজ সুযোগ পেয়েছিল সাইফ কিন্তু কাজে লাগাতে পারেনি নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড এমফন। ডি বক্সে ফাকায় বল পেয়েও গোলে রূপান্তর করতে ব্যার্থ হন এই ফরোয়ার্ড। ২৭ মিনিটে বক্সের খানিটা বাইরে থেকে ফয়সাল আহমেদ ফাহিমের নিচু শট দূরের পোস্টের পাশ দিয়ে বাইরে চলে যায়। ৩৮মিনিটে পুলিশকে রক্ষা করেন গোলরক্ষক মোহাম্মদ নেহাল। ডান দিক থেকে নাসিরুল ইসলামের কাট ব্যাক এমেকা উগবুগের প্লেসিং শট গোলরক্ষক নেহাল বরাবর থাকায় জালের দেখা পায়নি। বিরতির আগে দুদলের কেউই আর বলার মতো তেমন কোনো আক্রমন করতে না পারলে গোলশূন্য ভাবেই শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা।

বিরতি থেকে ফিরে ৫৩তম মিনিটেই পেনাল্টি পায় সাইফ।সফল স্পট কিকে সাইফকে এগিয়ে নেন রুয়ান্ডান ডিফেন্ডার এমেরি বাইসাঙ্গে। গোল হজম করে গোল শোধে মরিয়া হয়ে ওঠে পুলিশ। ৬৫তম মিনিটে ম্যাচে ফেরার দারুণ সুযোগ নষ্ট করেন পুলিশের আমীরউদ্দিন শরিফি। বা দিকের টাচ লাইন থেকে ঈসা ফয়সালের কাট ব্যাক বক্সের মধ্যে পেয়েও জালে জড়াতে পারেননি এই আফগান ফরোয়ার্ড। ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজার আগে হঠাৎই নাটকের জন্ম দেয় পুলিশ। বক্সের মধ্যে পুলিশের ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার দানিলো অগাস্তোকে ফাউল করে বসেন রিয়াদুল হাসান রাফি, সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। পেনাল্টি থেকে পুলিশকে সমতায় ফেরান আফগান ফরোয়ার্ড আমীরউদ্দিন শারিফি। ফলে ১-১ গোলের সমতায় শেষ হয় সাইফ-পুলিশ ম্যাচ।

দিনের অপর ম্যাচে মাঠে নামার কথা ছিলো শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রের। তবে ফেডারেশন কাপে না খেলার সিদ্ধান্তে অনড় থাকায় মাঠে আসেনি মুক্তিযোদ্ধা। ফলে ওয়াক ওভার পেয়ে ৩-০ গোলের জয় পেয়েছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব।

Previous articleমুখোমুখি অবস্থানে ইমরুল হাসান ও বাফুফে!
Next articleকোন দিকে এগোচ্ছে বাংলাদেশের ফুটবল?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here