আগামী ৩ অক্টোবরের বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচন থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন সভাপতি পদে অন্যতম প্রার্থী বাদল রায়। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় কাজী সালাউদ্দিনকে ফেডারেশনের সভাপতি হতে দিবেন না এমন চ্যালেঞ্জ নিয়েই নির্বাচনের মনোনয়নপত্র কিনেছিলেন তিনি। কিন্তু নাম প্রত্যাহারের শেষ দিনে এসে শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছে ফেডারেশনের সাবেক এই সহ-সভাপতি।

শেষ মুহুর্তে হঠাৎ করেই বাদলের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের চিঠি নিয়ে ফেডারেশনে আসেন তার স্ত্রী মাধুরী রায়। সন্ধ্যা ৬টার দিকে মাধুরী রায় এসে নির্বাচন থেকে বাদলের সরে দাঁড়ানোর চিঠি জমা দেন।

মাধুরী রায় চিঠি নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা দিয়ে সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘ফুটবলের জন্য ও (বাদল) কাজ করতে চেয়েছিল। কিন্তু এখন দেখছি তার শরীর আসলে ভালো যাচ্ছে না। স্বাস্থ্যের অনেক অবনতি হয়েছে। কথা বলতে খুব কষ্ট হচ্ছে। আমার পরিবার, আমার ছেলে-মেয়েসহ যারা শুভাকাঙ্ক্ষী আছে সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে সে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবে। সেই জন্যই প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে এসেছি।’

কিন্তু অনেকেরই প্রশ্ন, উপরি মহল থেকে চাপ আসলো কিনা? কাজী সালাউদ্দিনের সম্পর্ক যে সরকার পক্ষের অনেক বড় বড় লোকের সাথে রয়েছে তা কারোই অজানা নয়। ফলে প্রশ্নটি জাগেই। কিন্তু এই প্রশ্নের মাধুরী রায় চাপেট কথা জানা নেই বলেন, ‘ক্যাম্পিং করতে হলে লোকজনের সঙ্গে কথা বলতে হয় অনেক। নির্বাচন করতে গেলে ওর শরীর আরও খারাপ হতো। সেজন্য প্রত্যাহার করতে আসা। আর কোনও দিক থেকে চাপ আসছিল কি না তা জানি না।’

বিষয়টি পারিবারিকভাবে এড়িয়ে গেলেও সমর্থকদের মনে প্রশ্নটি আটকেই থাকবে। যদিও করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর থেকেই বাদল রায় অসুস্থ, কিন্তু এতো চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সরকার দলের পক্ষে পূর্বে জাতীয় সংসদে নির্বাচন করা একজন আসলেই এভাবে সরে যাবে?

Previous articleদুজন সদস্য পদপ্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার
Next articleচূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করলো বাফুফে নির্বাচন কমিশন; রয়েছে বাদল রায়ের নাম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here