বাংলাদেশ ফুটবলে গত দুই বছরে সবচেয়ে ভাইরাল বাক্য—‘আমরা উইন করমু’। প্রতি সফরেই সিলেটের ভাষায় হামজা চৌধুরীর মুখে শোনা সেই প্রত্যয়ী উচ্চারণ। কিন্তু কথার সঙ্গে মাঠের ফল মিলছিল না কিছুতেই। ভুটানের বিপক্ষে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ ছাড়া বাকিগুলোতে হতাশাই ছিল সঙ্গী। এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের চার ম্যাচে দুই ড্রই ছিল সাকুল্যে পাওয়া সাফল্য। নেপালের বিপক্ষে এগিয়েও শেষ পর্যন্ত ড্র করতে হয়েছিল ১৩ নভেম্বরের প্রীতি ম্যাচে।
অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান। ২২ বছর পর ভারতের বিপক্ষে জয়ের স্বাদ পেল বাংলাদেশ, আর সেই গৌরবের সাক্ষী হলেন হামজা চৌধুরীও। ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে হাভিয়ের কাবরেরার দল শক্তিশালী প্রতিপক্ষকে ১-০ গোলে হারিয়ে রচনা করেছে নতুন ইতিহাস। ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন শেখ মোরসালিন।

তবে ম্যাচেও শঙ্কা ছিল আগের মতো শেষ মুহূর্তে ভুলের। ৩১ মিনিটে বাংলাদেশের ডিফেন্সের ভুলে বল পেয়ে যান ভারতের লালিয়ানজুয়ালা চাংতে। গোলকিপার মিতুল মারমা পজিশন ছাড়ায় ফাঁকায় পড়ে যায় পোস্ট। চাংতের দূরপাল্লার শট পোস্টমুখী হয়ে যাচ্ছিল—ঠিক তখনই রক্ষাকবচ হয়ে হাজির হন হামজা। অবিশ্বাস্য এক হেডে কর্নারের বিনিময়ে দলকে রক্ষা করেন তিনি।
শেষ পর্যন্ত রক্ষণভাগ আর মোরসালিনের এক গোলের ওপর ভর করে ঐতিহাসিক জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। ম্যাচশেষে প্রেস কনফারেন্সে এসে হাস্যোজ্জ্বল হামজা বললেন,
‘খুব ভালো লাগছে, আমরা উইন করছি। সবাই এই ম্যাচের জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছে, তাদের মেন্টালিটি দেখিয়েছে। আমরা ট্যাকটিক্যালি ভালো ছিলাম। তাই জয় পেয়েছি।’




