বাংলাদেশের ফুটবলে নতুন হাওয়া বইছে। জাতীয় দলের পুনরুত্থানের পাশাপাশি ঘরোয়া ফুটবলেও নতুনত্ব আসতে চলেছে, আগামী মৌসুমে বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবলের চৌম্বক আকর্ষণ হতে চলেছে বহুল আকাঙ্খিত সুপার কাপ। এছাড়া লিগ ফরম্যাটেও পরিবর্তন নিয়ে আসার পরিকল্পনা করছে বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও পেশাদার লিগ ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান।
বাফুফের নেতৃত্বস্থানীয় পর্যায়ে রদবদলের পর ইতিবাচক দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের ফুটবল। জাতীয় দলের পাশাপাশি ক্লাব ফুটবলেও তার প্রতিচ্ছবি দেখা যাচ্ছে। এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করেছেন পেশাদার লিগ ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান। গত মৌসুমে ইন্টারন্যাশনাল ব্রেকের সাথে মিল রেখে লিগের শিডিউল তৈরি করা হয়, এতে করে দলগুলো যেমন দলবদলের সুযোগ পেয়েছে তেমনি ভালো মানের বিদেশী খেলোয়াড় দলে ভেড়াতে পেরেছে।
গতবারের মতো করে এবারেও নতুন কিছু আনতে যাচ্ছেন পেশাদার লিগ ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান। ধারণা অনুযায়ী লিগের পয়েন্ট তালিকার সেরা চার দল নিয়ে “সুপার ফোর” আয়োজন করার কথা ভাবছেন তিনি। লিগের বাকি ম্যাচগুলোর মতো করে সুপার ফোরের ম্যাচগুলো হোম-অ্যাওয়ে দুই ভেন্যুতে আয়োজিত হবে; সুপার ফোরে দলগুলোর অর্জিত পয়েন্ট লিগ পয়েন্টের সাথে যোগ হবে, যা শীর্ষে থাকা দলগুলোকে বাড়তি সুবিধা দিবে। এতে করে শীর্ষ চারে জায়গা করে নেওয়ার জন্য লিগের অংশগ্রহণকারী দলগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা বাড়বে।
তবে এখনো পর্যন্ত নিজ কোনো সিদ্ধান্ত নেননি ইমরুল হাসান। এই পদ্ধতি নিয়ে ক্লাবগুলোর সাথে আলোচনা করে তবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। ক্লাবগুলোর সম্মতি থাকলে নতুন মৌসুমে এই পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে। এই বিষয়ে বাফুফে সভাপতি তাবিথ আওয়ালের সাথেও আলোচনা করবেন বলে জানান ইমরুল হাসান। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে লিগের ফরম্যাটে পরিবর্তন আসবে। এছাড়া পাতানো খেলা এড়ানোর জন্য নিচের সারির চার দল নিয়েও ডাবল লেগ পদ্ধতিতে ম্যাচ আয়োজনের কথা ভাবছেন পেশাদার লিগ ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান।
এইদিকে গতবার চ্যালেঞ্জ কাপের মতো নতুন টুর্ণামেন্ট আয়োজন করা হলেও স্বাধীনতা কাপ আয়োজন করা হয় নি, মূলত সময় স্বল্পতার কারণে এটি হয়েছে। তবে এবারে চ্যালেঞ্জ কাপের পাশাপাশি স্বাধীনতা কাপও আয়োজন করা হবে, থাকবে লিগ ও ফেডারেশন কাপও; তবে সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হতে চলেছে সুপার কাপ।