বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) এই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ইউরোপের কোনো দেশের সঙ্গে প্রীতি ম্যাচ আয়োজনের পরিকল্পনা করছে। সাধারণত বাংলাদেশ এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি)-র সদস্য দেশগুলোর সঙ্গেই খেলে থাকে, তবে এবার সেই ধারা থেকে বেরিয়ে নতুন অভিজ্ঞতার দিকে চোখ বাফুফের।
আজ অনুষ্ঠিত জাতীয় দল কমিটির এক সভায় ১ থেকে ৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ফিফা উইন্ডোতে বাংলাদেশ জাতীয় দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হয়েছে। ম্যাচগুলো দেশে বা বিদেশে হতে পারে, তবে বাফুফের ইচ্ছা ইউরোপ সফরের মাধ্যমে দলকে নতুন অভিজ্ঞতা দেওয়ার। ইউরোপে গেলে দুটি ম্যাচ খেলার পরিকল্পনা রয়েছে।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, বাংলাদেশ সিনিয়র ফুটবল দল দীর্ঘ দুই দশক ধরে ইউরোপে কোনো ম্যাচ খেলেনি। সর্বশেষ ২০০০ সালে ইংল্যান্ডে একটি ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছিল, যেখানে ভারত ও পাকিস্তানও ছিল প্রতিদ্বন্দ্বী। সেক্ষেত্রে এবারের সম্ভাব্য সফর হবে দীর্ঘ বিরতির পর ইউরোপে ফেরার সুযোগ।
বাংলাদেশের এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের পরবর্তী ম্যাচ রয়েছে অক্টোবর ও নভেম্বরে। তাই সেপ্টেম্বরের প্রীতি ম্যাচগুলো দলটির প্রস্তুতিকে এগিয়ে নেবে। তবে একই সময়ে অনুষ্ঠিত হবে এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ টুর্নামেন্টের বাছাইপর্বও। যেহেতু জাতীয় দলে অনেক খেলোয়াড় অনূর্ধ্ব-২৩ এর আওতায় পড়ে, তাই দুই দলের জন্য আলাদা স্কোয়াড গঠন করা একটা চ্যালেঞ্জ হতে পারে।
বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং জাতীয় দল কমিটির ডেপুটি চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান জানিয়েছেন, এসব বিষয় মাথায় রেখেই কোচিং স্টাফ কাজ করছে এবং সামনে সময় থাকায় প্রস্তুতির সুযোগও রয়েছে।
দুটি ভিন্ন দলের জন্য আলাদা কোচিং স্টাফ প্রয়োজন হবে। জাতীয় দলের স্প্যানিশ কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা ২০২৩ সালের এশিয়ান গেমসে অনূর্ধ্ব-২৩ দলের দায়িত্বে ছিলেন। এবারও তার নাম অনূর্ধ্ব-২৩ দলের কোচ হিসেবে আলোচনায় থাকলেও জাতীয় দলের ম্যাচ থাকায় বিকল্প কোচিং ব্যবস্থার কথা ভাবা হচ্ছে। ইমরুল হাসান জানিয়েছেন, জুন উইন্ডোর পর এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
জুন মাসে বাংলাদেশের দুটি ম্যাচ রয়েছে—একটি ভুটানের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ এবং অন্যটি ১০ জুন এশিয়ান কাপ বাছাইপর্ব। এই দুই ম্যাচের জন্য আবারও আমের খানকে ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পেশাদার ম্যানেজার নিয়োগ নিয়ে আলোচনা চললেও তা এখনও বাস্তবায়িত হয়নি। গোলরক্ষক কোচেও পরিবর্তন আসছে; নুরুজ্জামান নয়নের পরিবর্তে এবার আবারও বিদেশি কোচ মিগেল ফিরছেন বলে জানা গেছে।
আগামীকাল জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের রিপোর্টিং রয়েছে, আর পরশু দিন থেকে শুরু হবে অনুশীলন। যদি বৃষ্টি অব্যাহত থাকে, তবে অনুশীলনের স্থান জাতীয় স্টেডিয়াম থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হবে।