ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে প্রথমবারের মতো মাঠে নামার রোমাঞ্চ ও উত্তেজনা ছিল সঙ্গী। কিং আবদুল্লাহ স্টেডিয়ামে চোখে চোখ রেখে লড়াই করল ঋতুপর্ণা-আফঈদারা। শেষ পর্যন্ত ভাগ্যকে পাশে পেয়ে গোলশূন্য ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ল পিটার জেমস বাটলারের দল।
আজ জর্ডানের রাজধানী আম্মানে অনুষ্ঠিত প্রথম প্রীতি ম্যাচে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে নিজেদের চেয়ে ৩৯ ধাপ এগিয়ে থাকা ইন্দোনেশিয়ার (৯৪তম) বিপক্ষে দারুণ আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলেছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল (১৩৩তম)।
বাংলাদেশ ১৫ শটের মধ্যে ৭টি ছিল লক্ষ্যে, যেখানে ইন্দোনেশিয়া ৯ শট নিয়ে মাত্র ৪টি রাখতে পেরেছে লক্ষ্যে। তবে দুই দলই গোলের দেখা পায়নি।
দুইবারের সাফ চ্যাম্পিয়ন গোলরক্ষক রুপনা চাকমা ছিলেন পোস্টে এক অকল্পনীয় প্রহরী। ৮০তম মিনিটে ওক্তাভিয়ানি রেভার শট বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে দুর্দান্তভাবে রক্ষা করেন তিনি। কিছুক্ষণ পর ঋতুপর্ণা চামকা আক্রমণে উঠলেও, শট নেওয়ার আগেই বল ক্লিয়ার করে দেন প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডার।
৮৭তম মিনিটে ঋতুপর্ণার ফ্রি কিক অল্পের জন্য গোলপোস্ট ঘেঁষে বাইরে চলে যায়। সেই মুহূর্তে হতাশায় ডাগআউটে মুখ ঢাকেন কোচ ও কোচিং স্টাফরা।
যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে রীতিমতো ভাগ্যকে পাশে পেয়েছিল বাংলাদেশ। পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে আসা রুপনার অনুপস্থিতিতে ক্লাওদিয়া আলেকসান্দ্রা ফাঁকা পোস্টে শট নিলেও বল পোস্টে লেগে ফিরে আসে। এরপর জর্ডান একবার বল জালেও জড়ায়, তবে অফসাইডের কারণে গোলটি বাতিল হয়। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই বাজে শেষ বাঁশি।
বৃটিশ কোচ পিটার বাটলার বিদ্রোহী ফুটবলারদের কয়েকজনকে দলে ডেকেছিলেন। ঋতুপর্ণা, মনিকা, রুপ্না,শামসুন্নাহার এদের আজ একাদশেও খেলিয়েছেন। ম্যাচ শেষে বাফুফের পাঠানোর এক বার্তায় কোচ বিদ্রোহী ফুটবলারদের ভূয়সী প্রশংসাও করেছেন, ‘ঋতু, মনিকা, মারিয়া দুর্দান্ত খেলেছে। আমি আসলে অত্যন্ত গর্বিত আজ মেয়েরা যেভাবে পেছন থেকে বিল্ড আপ ফুটবল খেলেছে। আমরা কয়েকটি গোলের সুযোগও তৈরি করেছিলাম। আমি অত্যন্ত খুশি মেয়েদের কমিটমেন্ট,আচরণ ও শৃঙ্খলায়।’
এই জর্ডান সফর বাংলাদেশ দলের জন্য বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। সামনে রয়েছে জুন-জুলাইয়ে মিয়ানমারে অনুষ্ঠিতব্য উইমেন’স এশিয়ান কাপের বাছাই পর্ব। তার প্রস্তুতি হিসেবেই এই সফরটি করছে বাংলাদেশ নারী দল।
আগামী মঙ্গলবার সফরের দ্বিতীয় ও শেষ প্রীতি ম্যাচে স্বাগতিক জর্ডানের মুখোমুখি হবে পিটার জেমস বাটলারের দল।
আরও দরকার হলে জানাতে পারেন!