এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ ও সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ নারী টুর্নামেন্টে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেনি বাংলাদেশ। তাই মঙ্গলবার বিকেলে বাফুফে ভবনে সভাপতি তাবিথ আউয়াল দুই দলের কোচিং স্টাফ ও টিম ম্যানেজমেন্টকে ডেকে জবাবদিহি করেন।
এএফসি অ-২৩ টুর্নামেন্টের জন্য কখনও বিদেশে দল পাঠায়নি বাফুফে। এবারই প্রথম অ-২৩ দল প্রীতি ম্যাচও খেলেছে। এরপরও বাংলাদেশ ভিয়েতনামে তিন ম্যাচের মধ্যে প্রথম দুটিতে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যায়। তাই স্বাভাবিকভাবেই বাফুফে সভাপতির জেরার মুখে পড়তে হয়েছে কোচ হাসান আল মামুনকে। ব্যর্থতার কারণ হিসেবে তিনি খেলোয়াড়রা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারেনি—এমন ব্যাখ্যা দেন।
তবে মামুন অ-২৩ টুর্নামেন্টকে ডেভেলপমেন্ট হিসেবে দেখায় কড়া সমালোচনা করেন সভাপতি। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, সিনিয়র দলের একাধিক খেলোয়াড় ও এক মাসের প্রস্তুতির পর শুধু শেখার কথা নয়, বরং ফলাফলের প্রত্যাশাই ছিল। সভাপতির মতে, অ-২৩ দল শেখার জায়গা নয়।
মাঠের পারফরম্যান্স ছাড়াও খেলোয়াড়দের বারবার কার্ড পাওয়া, শৃঙ্খলাভঙ্গ, এমনকি শেষ মুহূর্তে গোল খাওয়ার প্রবণতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন সভাপতি। দ্বিতীয় ম্যাচে জনির লাল কার্ড পাওয়া সত্ত্বেও তাকে দেশে না পাঠানোর কারণ নিয়েও আলোচনা হয় বৈঠকে।
বৈঠক শেষে অ-২৩ দলের ম্যানেজার শাহীন হাসান জানান, ‘অ-২৩ দলের জন্য আলাদা কোচিং স্টাফ প্রয়োজন। আগামী বছর সেপ্টেম্বরের এশিয়ান গেমসের জন্য এখন থেকেই অ-২৩ দল নিয়ে পরিকল্পনা করা হবে। কোথায়-কখন প্রীতি ম্যাচ খেলা যায় সেটাও খুঁজতে বলেছেন সভাপতি।’
অ-২৩ দলের আনুষ্ঠানিক হেড কোচ ছিলেন সাইফুল বারী টিটু। তবে ক্যাবরেরার নির্দেশে মূলত মামুনই দল পরিচালনা করেন। ভিয়েতনামে অসুস্থ থাকায় টিটু সরাসরি জেরার মুখোমুখি হননি। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রামে কোচিং কোর্সে ব্যস্ত।
অ-২৩ পুরুষ দলের আগে সাফ অ-১৭ নারী দলের কোচিং স্টাফ ও ম্যানেজমেন্টও সভাপতির কক্ষে বৈঠকে অংশ নেন প্রায় আধঘণ্টা। সাফ অ-২০ নারী টুর্নামেন্টে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হলেও অ-১৭ দল ভুটানে গিয়ে প্রথমবারের মতো ড্র করে এবং ভারতের বিপক্ষে একবার জয় পেলেও আরেকবার হারে।
অ-১৭ নারী দলের কোচ মাহবুবুর রহমান লিটু বলেন, ‘সভাপতি বলেছেন, তিনি চান আমরা যেন প্রতি ম্যাচেই জিতি। সামনে অ-১৭ এএফসি টুর্নামেন্ট রয়েছে, সেখানে ফোকাস রাখতে বলেছেন।’