মিয়ানমারে অনুষ্ঠিত এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে শতভাগ জয় তুলে নিয়ে প্রথমবারের মতো মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। বাহরাইন, স্বাগতিক মিয়ানমার ও তুর্কমেনিস্তান—তিন ম্যাচেই দাপুটে জয় এসেছে পিটার বাটলার শিষ্যদের। যার ফলশ্রুতিতে প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপের মূল পর্বে খেলার সুযোগ মিলেছে।
১৯৮০ সালের পর এবারই প্রথমবার এশিয়ার সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব, তাও নারীদের হাত ধরে। ২০২৬ সালের মার্চে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে নারী এশিয়ান কাপের ২৩তম আসর, যেখানে অংশ নেবে মোট ১২টি দল। আগামী ২৯ জুলাই সিডনিতে হবে গ্রুপ পর্বের ড্র।
ড্রয়ে বাংলাদেশ থাকবে ৪র্থ পটে, ফলে প্রথম তিন পট থেকে শক্তিশালী দলগুলোর মুখোমুখি হওয়ার প্রস্তুতি নিতে হবে। অস্ট্রেলিয়া, চীন, জাপানের মত শক্তিশালী দলগুলো পড়তে পারে বাংলাদেশের গ্রুপে। তবে এই সুযোগ কেবল সম্মানের নয়, এটি খুলে দিয়েছে বিশ্বকাপ ও অলিম্পিকে খেলার দ্বারও।
২০২৭ নারী বিশ্বকাপের জন্য এশিয়া থেকে ৬টি দল সরাসরি এবং ২টি দল প্লে-অফের মাধ্যমে সুযোগ পাবে। এশিয়ান কাপের সেমিফাইনালে উঠলেই মিলবে বিশ্বকাপের টিকিট, অন্যদের জন্য থাকছে কঠিন বাছাই লড়াই। একইভাবে ২০২৮ অলিম্পিকের বাছাইপর্বেও জায়গা পাবে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা ৮টি দল।
কয়েক মাস আগেও যারা আন্তর্জাতিক ম্যাচের অভাবে হতাশায় থাকত, তাদের জন্য এখন সামনে এশিয়ার হেভিওয়েটদের বিপক্ষে লড়াইয়ের মঞ্চ। বাফুফের উদ্যোগে ইতোমধ্যেই সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইন্দোনেশিয়া, জর্ডানের সঙ্গে প্রীতি ম্যাচ হয়েছে। তারই ফল হিসেবে এসেছে এশিয়ান কাপের টিকিট।
তাই এবার লক্ষ্য হোক — বিশ্বকাপ ও অলিম্পিক!