বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার ফুটবল ম্যাচ সবসময়ই এক অন্যরকম উত্তেজনা সৃষ্টি করে। এশিয়ান কাপ ফুটবল বাছাইপর্বের এই ম্যাচটিও তার ব্যতিক্রম নয়। বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া স্বীকার করেছেন, ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটি শুধু একটি খেলা নয়, এটি যেন এক অস্তিত্বের লড়াই, আত্মমর্যাদা রক্ষার লড়াই।
এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে ভারতকে ‘বড় ভাই’ বলে সম্মান জানান জামাল, তবে মাঠে নামার পর লক্ষ্য একটাই—জয়। ২০১৯ সালে সল্ট লেক স্টেডিয়ামে শেষ দেখায় ড্র করেছিল বাংলাদেশ। এবার লক্ষ্য আরও বড় কিছু।
জামাল বলেন,
‘আমি যে উত্তর দেব এটা এমন যে, আপনি যখন আপনার বড় ভাইয়ের সঙ্গে খেলেন তখন সবসময় জিততে চান। আমরাও তেমনই। আর চাপ তো থাকবেই। প্রত্যেক ম্যাচেই চাপ থাকে। এই ম্যাচে অনেক ফোকাস আছে। আর এটা তো ভারতের বিপক্ষে। গত এক বছর কী হয়ে আসছে তা আপনারা দেখে আসছেন (সব কিছু মিলিয়ে)। আমরা চাপ অনুভব করছি। তবে আমরা ভালো অবস্থানে আছি।’
দুই দলের ফিফা র্যাংকিংয়ে পার্থক্য থাকলেও তা নিয়ে চিন্তা করতে রাজি নন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক। তার মতে, মাঠের খেলাই মূল বিচার্য। তিনি বলেন,
‘আমরা র্যাংকিং নিয়ে চিন্তা করি না। আমাদের মনোযোগ এই ম্যাচ জিততে হবে। কোচ যেটা বলেছেন, এখন পর্যন্ত এই দল সেরা।অনেক শক্তিশালী। হামজা তো এসেছে। অবশ্যই আমাদের জন্য দারুণ উজ্জীবিত করেছে। লক্ষ্য হচ্ছে তিন পয়েন্ট, আমি চাই, সবাই চাই।’
বাংলাদেশ দল ২০২৩ সালে বেঙ্গালুরুতে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ খেলেছিল এবং ১৪ বছর পর প্রতিযোগিতাটির সেমি-ফাইনালে ওঠার গৌরব অর্জন করেছিল। মাঝের এই সময়ে দলের মানসিকতা ও খেলার ধরনে বড় পরিবর্তন এসেছে বলে মনে করেন জামাল ভূঁইয়া।
তিনি বলেন,
‘অবশ্যই হামজার অন্তর্ভুক্তি ইতিবাচক দিকগুলোর একটি। কিন্তু যারা স্থানীয় খেলোয়াড়, তারাও তাদের খেলার মান উন্নত করেছে। আমি মনে করি, তাদের মানসিকতার বদল হয়েছে এবং অবশ্যই কোচ যখন এসেছিলেন, তখনকার চেয়ে এখন আমরা একেবারেই ভিন্ন ঘরানার ফুটবল খেলি। তো অনেক বিষয় বদলেছে এবং আমি মনে করি, দুই বছর আগের সাফের সময়ের চেয়ে এখন দলের খেলোয়াড়েরা আরও বেশি প্রস্তুত। এ কারণেই আমরা বলছি, আমরা খুবই শক্তিশালী দল।’
বাংলাদেশ দলের সবাই নিজেদের সেরাটা দিতে প্রস্তুত। ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামার অপেক্ষায় দল, লক্ষ্য একটাই—জয় নিশ্চিত করা এবং আত্মমর্যাদার লড়াইয়ে বিজয়ী হওয়া।