সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একের পর এক হতাশা উপহার দিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। যার প্রভাবটা পড়েছে ফিফা র‍্যাংকিংয়ে। এইতো কদিন আগেই ফিফা র‍্যাংকিংয়ে ৪ ধাপ অবনমন হয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের। ১৮৮ থেকে পিছিয়ে বর্তমানে ১৯২তম স্থানে অবস্থান করছে জামাল ভুঁইয়ারা। তারপরও জাতীয় দলের সম্প্রতিক ব্যর্থতা কাটিয়ে উঠতে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। আসছে সেপ্টেম্বরে রয়েছে একটি ফিফা উইন্ডো, আর ১৯ থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই উইন্ডোটাই এ বছরের শেষ ফিফা উইন্ডো। তাইতো এই উইন্ডোতে প্রীতি ম্যাচ আয়োজন করে জাতীয় দলকে ম্যাচ খেলার সুযোগ করে দিতে চায় ফেডারেশন। এরই মধ্যে কম্বোডিয়া, লাওস, গুয়াম ও চাইনিজ তাইপেকে ম্যাচ খেলার জন্য আমন্ত্রণ জানায় বাফুফে। এদের মধ্যে কারো কাছ থেকেই ইতিবাচক সাড়া না পেলেও, এবার কম্বোডিয়া ফুটবল ফেডারেশন উল্টো বাফুফেকে দিয়েছে একটি প্রস্তাব।

জাপান অনূর্ধ্ব-২৩ দল, বাংলাদেশ জাতীয় দল, কম্বোডিয়া জাতীয় দল এবং কম্বোডিয়া অনূর্ধ্ব-২৩ দল নিয়ে একটি সিরিজ আয়োজন করতে চায় কম্বোডিয়া ফুটবল ফেডারেশন। এরইমধ্যে বাফুফে সেই সিরিজের ফরম্যাট কেমন হবে সে ব্যাপারে বিস্তারিত জানিয়েছে কম্বোডিয়া। বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ জানান, ‘খেলাগুলোর ফরম্যাট কেমন হবে জানিয়েছে কম্বোডিয়া। একটি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ ও কম্বোডিয়া এবং আরেকটি ম্যাচ খেলবে জাপান অনূর্ধ্ব-২৩ দল ও কম্বোডিয়া অনূর্ধ্ব-২৩ দলের। এই দুই ম্যাচের জয়ী দুই দল খেলবে আরেকটি ম্যাচ, পরাজিত দুই দল খেলবে আরেকটি ম্যাচ। প্রতিটি দলের তখন দুটি করে ম্যাচ খেলা হবে।’

বাংলাদেশ কি এধরনের টুর্নামেন্টে অংশ নেবে? কম্বোডিয়ার এই প্রস্তাবে বাফুফের ভাবনা কি? বাফুফে সাধারণ সম্পাদকের জবাব, ‘আমরা বিষয়টি আমাদের টেকনিক্যাল ডিপার্টমেন্টকে জানিয়েছি এবং ন্যাশনাল টিমস কমিটির চেয়ারম্যানের সঙ্গে শেয়ার করেছি। ফিডব্যাক কি হয় সেটা আমরা জানাবো। তবে প্রাথমিকভাবে টেকনিক্যাল ডিপার্টমেন্ট থেকে ইতিবাচক ফিডব্যাক পাইনি।’

ইতিবাচক ফিডব্যাক না পাওয়ার কারণ হিসেবে আবু নাঈম সোহাগের বক্তব্য, ‘আমাদের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে যেকোনো জাতীয় দলের বিপক্ষে দুটি ম্যাচ খেলা। আমরা আবার কম্বোডিয়াকে জানাবো যে, তাদের জাতীয় দলের সঙ্গেই দুটি ম্যাচ খেলতে চাই। যোগাযোগ চলছে। আশা করি, সোম-মঙ্গলবারের মধ্যে জানানো যাবে যে কম্বোডিয়ার সঙ্গে আমাদের খেলা সম্ভব কি না। কম্বোডিয়ার চাওয়া হলো সেখানে গিয়ে আমাদের খেলতে হবে। দরকার হলে আমরা সেখানে গিয়েই ম্যাচ খেলবো।’

Previous articleমোহামেডানের জয়ের দিনে গোলশূন্য ড্র দিনের বাকি দুই ম্যাচ!
Next articleবিসিএলে ফিক্সিং প্রমাণিত; শাস্তির আওতায় আসবে ক্লাব, কর্মকর্তা ও খেলোয়াড়রা!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here