সিঙ্গাপুর নয়, বাংলাদেশের সবচেয়ে আলোচিত ও প্রতিভাবান ফুটবলার হামজা দেওয়ান চৌধুরীর ঘরের মাঠে অভিষেক হতে যাচ্ছে ভুটানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। আগামীকাল (বুধবার) ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে ফিফা প্রীতি ম্যাচ, যেখানে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও ভুটান।

আজ ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা নিশ্চিত করেন যে, এই ম্যাচে দেখা যেতে পারে হামজাকে। তার শারীরিক ভাষা ইঙ্গিত দিয়েছে, এই ম্যাচে মাঠে নামছেন এই মিডফিল্ডার। কোচ বলেন, ‘ম্যাচ খেলার জন্য হামজা তৈরি আছেন।’

এছাড়া সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইতালিতে খেলা তরুণ ফুটবলার ফাহামিদুল ইসলাম সম্পর্কেও কোচ আশাবাদী বার্তা দেন। কালই অভিষেক হতে পারে ফাহামিদুলের। তিনি বলেন, ‘ফাহামিদুলের কিছু সময় খেলার সম্ভাবনা আছে। যার অর্থ দর্শকদের আকাঙ্খা পূরণ হতে পারে ভুটানের বিপক্ষে ম্যাচেই।’

বাফুফে ভবনে আজ জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে জামাল ভূঁইয়া এসে নিজেই শুরুতে ভিডিও করলেন। বাফুফের সংবাদ সম্মেলনে এত সাংবাদিক আগে দেখেছেন? জামাল হেসে বললেন,’এখানে বলা উচিত এখানে আজকে যেটা আমি প্রথমে দেখছি এত সাংবাদিক। কিন্তু আমার কষ্ট লাগতেছে আপনারা নীচে বসে আছেন।’ অন্যদিকে, সবচেয়ে অভিজ্ঞ ফুটবলার জামাল ভূঁইয়ার বিষয়ে কিছুটা অনিশ্চয়তা থেকেই গেছে। ভারত ম্যাচের আগে অধিনায়ক হিসেবে সংবাদ সম্মেলনে থাকলেও মাঠে নামা হয়নি জামালের। এই ম্যাচেও তাকে একাদশে দেখা যাবে কি না, সেই প্রশ্ন উঠেছে। উত্তরে তিনি বলেন, ‘এটা আমার হাতে নেই। কোচ যে সিদ্ধান্ত নেবেন সেটাই চূড়ান্ত।’

ভুটান ও সিঙ্গাপুর উভয় ম্যাচকে গুরুত্ব দিয়েছেন জামাল। জিততে চান দুটোতেই। ম্যাচ নিয়ে জামাল বলেন, ‘১০ জুন আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। তবে কালকের ম্যাচও ভুটানের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই আমরা আমাদের সেরাটা দেবো। তবে আমাদের মেইন ফোকাস হচ্ছে কালকের ম্যাচে, জিততে হবে।’

এদিকে, প্রবাসী ফুটবলারদের জাতীয় দলে অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি নিয়ে উচ্ছ্বসিত জামাল। ২০১৩ সালে তিনিই প্রথম প্রবাসী হিসেবে বাংলাদেশের জার্সি পরেন। এখন সেই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ জনে। জামাল বলেন, ‘আমি আসলে খুব খুশি। ওই সময়, এমনকি যখন তারিক জয়েন করছে। তখনও আমি চিন্তা করেছি আর কেউ জয়েন করবে না। কিন্তু এখন দেখছি সংখ্যাটা বাড়তেছে, বাড়তেছে। এটা আমি মনে করি দেশের জন্য ভালো হবে। অবশ্যই লোকাল যারা আছে তারা ভালো খেলবে। কিন্তু আপনি যদি দেখেন সবচেয়ে বেস্ট উদাহরণ হচ্ছে ফ্রান্স টিম, তাদের অধিকাংশ খেলোয়াড়ই বাইরের। তো তারা কিন্তু বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হযে গেছে। আমিও সেম সিনারিওটা দেখছি, যেটা আমরা ফরেনার বলি ওরা জয়েন করতেছে।’

সংবাদ সম্মেলন শেষে অনুশীলন শুরু করে বাংলাদেশ দল। জাতীয় স্টেডিয়ামে হামজার একটু ছোয়া পেতে মানুষ দাড়িয়ে থাকে গেইট ঘিরে। এরপর অনুশীলনে দলের সবার সাথে দেখা করেন বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক ও গোলরক্ষক আমিনুল ইসলাম। দলকে উজ্জ্বীবিত করার চেষ্টা করেন তিনি। এছাড়া ম্যাচের আগে আজ প্রথমবার স্টেডিয়ামের ড্রেসিংরুম ব্যববহার করে উভয় দল।

Previous articleবাফুফে’র সোনার খনিতে চোখ এনএসসি’র
Next articleশক্তিশালী জর্ডানকে রুখে দিলো বাংলাদেশের মেয়েরা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here