সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ স্বাগতিক ভারত। অরুণাচল প্রদেশের গোল্ডেন জুবিলি স্টেডিয়ামে রোববার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭.৩০ মিনিটে মাঠে নামবে দুই দল। ম্যাচের আগে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে দুই দলের অধিনায়কই শিরোপা জয়ের প্রত্যাশার কথা জানিয়েছে।
ভারতের মাটিতে খেলা হওয়ায় দর্শক সমর্থন ও পরিবেশ স্বাগতিকদের অনুকূলে থাকলেও বাংলাদেশের শিবিরে বইছে আত্মবিশ্বাসের বাতাস। দলের ফুটবলাররা ও কোচ আত্মবিশ্বাসী যে শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে তারা পুরোপুরি প্রস্তুত। বাংলাদেশ দলের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন বলেন,
“আমাদের ছেলেরা এই টুর্নামেন্টে প্রতিটি ম্যাচেই ভালো ফুটবল খেলেছে। তারা অনেক কিছু শিখতে পেরেছে। এতে এখন তারা অনেকটা আত্মবিশ্বাসী। ফাইনালের জন্য তাঁরা পুরোপুরিভাবে প্রস্তুত।”
বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হুদা ফয়সাল দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার পাশাপাশি তিনটি গোল করেছেন। শিরোপাই তাদের লক্ষ্য এটি স্পষ্ট করেছেন তিনি। ফাইনাল নিয়ে তার মধ্যে রোমাঞ্চ স্পষ্ট। তিনি বলেন,
“ফাইনাল সবসময় একটু এক্সাইটমেন্ট কাজ করে। এটা ফাইনাল, টুর্নামেন্টের শেষ ম্যাচ। এখানে দুইটা দলই চাইবে জিততে, ভালো খেলতে এবং ট্রফি দেশে নিয়ে যেতে। আমরা এখানে এসেছি লক্ষ্য পূরণ করতে। ইনশাআল্লাহ সেটা করেই দেশে ফিরব।”
যেহেতু ফাইনালে প্রতিপক্ষ ভারত, সেক্ষেত্রে ম্যাচটি আলাদা তাৎপর্য বহন করছে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের কাছে। প্রতিপক্ষকে সম্মান করলেও লক্ষ্য পূরণে প্রত্যায়ী বাংলাদেশের অধিনায়ক,
“আমাদের দল শুরু থেকেই আত্মবিশ্বাসী ছিল। প্রতিটা খেলোয়াড় ও দলের প্রতি বিশ্বাস ছিল আমাদের। আমরা ভালো কিছু করার জন্য এখানে এসেছি। যেহেতু ফাইনালে প্রতিপক্ষ ভারত, সেক্ষেত্রে বিষয়টি আলাদা। ভারত ভালো দল, তাদের প্রতি সম্মান আছে আমাদের। তবে, আমরা এসেছি লক্ষ্য পূরণ করতে। আমরা শতভাগ নিংড়ে দেব এবং লক্ষ্য পূরণ করে ফিরব।”
দুই দলই গ্রুপ পর্ব ও নকআউট পর্বে অপরাজিত থেকেছে। ভারত যেখানে তিন ম্যাচেই জয় পেয়েছে, বাংলাদেশ একটি ম্যাচ ড্র করেছে। তা সত্ত্বেও বাংলাদেশকে হালকাভাবে নিচ্ছেন না ভারত কোচ বিবিয়ানো ফের্নান্দেস। তিনি বলেন,
“আপনারা জানেন, তারা (বাংলাদেশ) কতটা ভালো এবং ভালো খেলেছে, বিশেষ করে সেমি-ফাইনালে। তাদের প্রতি সম্মান আছে আমাদের এবং আমরা নিজেদের প্রস্তুত করেছি ফাইনালের জন্য। ফাইনালে আমরা সর্বোচ্চটুকু দিয়ে চেষ্টা করতে চাই।”
ভারত খেলোয়াড় সিঙ্গামায়ুম শামিও ফাইনাল নিয়ে আশাবাদী। ঘরের মাঠে খেলা হওয়ায় তাদের লক্ষ্য ট্রফি ঘরে রাখা।
“ফুটবলে কি হবে সেটা বলা যায় না। তবে, আমরা লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত এবং ঘরে ট্রফি রেখে দিতে চাই।”
রোমাঞ্চকর এক ফাইনালের অপেক্ষায় ফুটবলপ্রেমীরা। বাংলাদেশ-ভারত লড়াই সবসময়ই এনেছে বাড়তি উন্মাদনা। শেষ হাসি কারা হাসবে,তা এখন দেখার অপেক্ষা।