আগামী মার্চে অস্ট্রেলিয়ায় বসছে এএফসি নারী এশিয়ান কাপ। এই টুর্নামেন্টের প্রস্তুতিকে এগিয়ে নিতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন ডিসেম্বরেই নারী ফুটবল লিগ শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মঙ্গলবার বাফুফে ভবনের সভা শেষে সহ-সভাপতি ও মার্কেটিং কমিটির চেয়ারম্যান ফাহাদ করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, “দলগুলোকে নিয়মিত প্রতিযোগিতামূলক খেলায় রাখতে এবং জাতীয় দলের প্রস্তুতি জোরদার করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই নেওয়া হয়েছে এই উদ্যোগ। বাফুফে এটিকে বলছে ‘মিশন অস্ট্রেলিয়া’। উদ্যোগের অংশ হিসেবে ওমেন্স উইং অংশগ্রহণে আগ্রহী ক্লাবগুলোকে চিঠি দেয়। তাতে প্রায় ১৪টি ক্লাব সাড়া দেয়।”
ফাহাদ করিম বলেন, “আবেদন করা দলগুলোর কাগজপত্র পর্যালোচনার পর ১০টি দলকে ইতোমধ্যে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। দুইটি দলকে শর্তসাপেক্ষ অনুমতি দেওয়া হয়েছে। নির্ধারিত সময়ে প্রয়োজনীয় কাগজ জমা দিতে পারলে তাদেরও সুযোগ দেওয়া হবে।”
সভায় উপস্থিত দলগুলোর মধ্যে নতুন কয়েকটি সংস্থার অংশগ্রহণ বিশেষভাবে নজর কাড়ে। প্রথমবারের মতো বিকেএসপি নারী দল দিচ্ছে বিকেএসপি এফসি নামে। আনসার ও পুলিশ এফসিও নারী দল গঠনের সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। আর্মি আগের মতো এবারও দল দিচ্ছে। পাশাপাশি একটি কর্পোরেট গ্রুপ প্রথমবারের মতো রাজশাহী অঞ্চলের নামে দল নিয়ে লিগে নামছে। বাকি পাঁচটি দল নিয়মিত অংশগ্রহণকারী।
যুব উন্নয়নকে গুরুত্ব দিতে লিগে প্রতিটি দলের সেরা একাদশে অনূর্ধ্ব-১৭ ও অনূর্ধ্ব-২০ স্তরের খেলোয়াড় রাখাকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তারা বদলি হলে তাদের জায়গাতেও একই বয়সভিত্তিক ফুটবলার নামাতে হবে। ক্লাবগুলো সর্বোচ্চ দুই বিদেশি ফুটবলার নিবন্ধন করতে পারবে, তবে এজন্য ফিফা টিএমএস ও ফিফা কানেক্ট সিস্টেমে নিবন্ধন বাধ্যতামূলক।
আগের মৌসুমগুলোতে খেলোয়াড়দের পেমেন্ট নিয়ে অভিযোগ ছিল। এবার সব চুক্তি ফিফা কানেক্টে সংরক্ষিত থাকবে এবং প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটি ও কম্পিটিশন কমিটি নজরদারি করবে। কেউ চুক্তি না মানলে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




