ভারতের ঐতিহ্যবাহী টুর্নামেন্ট ডুরান্ড কাপ খেলতে যাওয়ার কথা ছিলো বাংলাদেশের দুই ক্লাব ঢাকা মোহামেডান এসসি ও শেখ জামাল ডিসি’র। সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে ডুরান্ড কাপের ১৩০ তম আসরে খেলতে প্রাথমিক সম্মতি জানিয়েছিলো বাংলাদেশের দুই ক্লাব। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর খেলতে যাচ্ছে না তারা। মূল কারণ হিসেবে কোভিট ভ্যাকসিনের দুই ডোজ নেয়া হয়নি সকল খেলোয়াড়দের তাই জানিয়েছে ক্লাবগুলো।

ভারতে করোনার ভ্যাকসিন দেয়ার পর আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হওয়ার পথে সবকিছু। ঐতিহ্যবাহী এই টুর্নামেন্টটিতেও এই বিষয়টি বিশেষভাবে গুরুত্ব পাচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশী দুই ক্লাবের সকল খেলোয়াড় ও কর্মকর্তা এখনও ভ্যাকসিনের দুই ডোজ পায়নি। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন আলাদাভাবে সরকার থেকে ভ্যাকসিন বরাদ্দ পেলেও অনেক খেলোয়াড়দের জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকা টিকা প্রদান সম্ভব হয়নি।

অংশগ্রহন না করার বিষয়ে ঢাকা মোহামেডান এসসি’র দলনেতা হাসান চৌধুরি প্রিন্স অফসাইডকে মুঠোফোনে জানান, ‘আমরা ডুরান্ড কাপে খেলতে যেতে পারছিনা। প্রথমত দুটি করে টিকা নেওয়া লাগবে যেটা আমাদের কারোই নেওয়া নেই। তাছাড়া লীগ প্রায় শেষ দিকে। ফুটবলারদের সঙ্গে আমাদের নতুন করে চুক্তি নবানয়ন করতে হবে যেটা ঝামেলার বিষয় । ফলে আমাদের যাওয়া হচ্ছে না। আমরা গতকাল তাদের চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছি।’

শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবও সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে না যাওয়ার বিষয়ে। আনুষ্ঠানিকভাবে টুর্নামেন্ট কর্তৃপক্ষকে জানাবে তারা। টিকার পাশাপাশি বিদেশী খেলোয়াড়দের সাথে চুক্তি শেষকেও কারণ হিসেবে দেখাচ্ছে দুই ক্লাবই।

ভারতের আর্মি আয়োজিত এই টুর্নামেন্টটি সেপ্টেম্বর মাসের ৫ তারিখ শুরু হয়ে অক্টোবর মাসের ৩ তারিখ শেষ হবে। বিশ্ব যুব ভারতীয় ও কল্যানী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচ। রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতির টুর্নামেন্টটিতে ১৬ টি দল ৪ গ্রুপে বিভক্ত হয়ে লড়াই করবে। সেপ্টেম্বরের ১ তারিখের মধ্যে দলগুলোকে কলকাতায় যাওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে কমিটি।

Previous articleশুক্রবার জামালদের প্রীতি ম্যাচ নিয়ে সিদ্ধান্ত
Next articleকিংসের এএফসি কাপে সঙ্গী হচ্ছে না মতিন-সবুজ!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here