সৌদি আরবের রিয়াদে অনুষ্ঠিত এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি) অ্যাওয়ার্ড নাইটে গর্বের স্বীকৃতি পেল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। তৃণমূল ফুটবলে উন্নয়নমূলক কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বাফুফে পেয়েছে এএফসি প্রেসিডেন্টস রিকগনিশন ফর গ্রাসরুটস ফুটবল (ব্রোঞ্জ) অ্যাওয়ার্ড।
এশিয়ার ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা প্রতি বছর সেরা খেলোয়াড়, কোচ, ফেডারেশনসহ নানা ক্যাটাগরিতে পুরস্কার প্রদান করে। এবার বাফুফে ছিল দুটি বিভাগে মনোনীত—‘মেম্বার অ্যাসোসিয়েশন (রুবি)’ ও ‘গ্রাসরুটস ফুটবল (ব্রোঞ্জ)’। মেম্বার অ্যাসোসিয়েশন ক্যাটাগরিতে লাওস জয়ী হলেও, গ্রাসরুট ফুটবলে প্রথমবার মনোনয়ন পেয়েই সাফল্যের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। এই বিভাগে আরও ছিল নর্দার্ন মারিয়ানা ও ভিয়েতনাম।
পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল। তবে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার মঞ্চে উঠে পুরস্কারটি গ্রহণ করেন। ২০১৫ সালে বাফুফে এএফসি অ্যাসপায়া অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিল। প্রায় এক দশক পর আবারও এএফসি অ্যাওয়ার্ডের মঞ্চে স্বীকৃতি পেল বাংলাদেশ ফুটবল।
বাফুফের নতুন কমিটি তৃণমূল ফুটবলকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। যশোরের শামসুল হুদা ফুটবল একাডেমিতে সাতশ খুদে ফুটবলারকে নিয়ে আয়োজন করা হয়েছিল অনন্য গ্রাসরুট উৎসব, যার ভিডিও প্রদর্শিত হয় রিয়াদের মঞ্চে পুরস্কার ঘোষণার সময়। সহ-সভাপতি ও ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান নাসের শাহরিয়ার জাহেদীর নেতৃত্বে একাডেমি ও বয়সভিত্তিক ফুটবলে নতুন দিগন্ত উন্মোচন হয়েছে।
সাফ, এএফসি ছাড়াও বাংলাদেশ এখন নিয়মিত অংশ নিচ্ছে বিভিন্ন আমন্ত্রণমূলক বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টে—যার ধারাবাহিকতায় এসেছে এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।
আঞ্চলিক সংস্থা হিসেবে সাফও এবারে মনোনয়ন পেলেও পুরস্কার জিতেছে আসিয়ান ফেডারেশন। তবুও বাংলাদেশের জন্য এটি নতুন এক অনুপ্রেরণা, এশিয়ার ফুটবল মঞ্চে আরও এগিয়ে যাওয়ার বার্তা।