এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের প্রস্তুতিতে তৃতীয় দিনের অনুশীলনও সেরে নিয়েছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুনে স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে ৯টা পর্যন্ত হয়েছে এই সেশন। যদিও বৃষ্টি থামেনি, তবু থেমে থাকেনি প্রস্তুতিও। কোচ পিটার বাটলারের নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী টুর্নামেন্ট চলাকালীন চার দিনের প্রতিটি অনুশীলনই সকালেই হচ্ছে।
মাঠে নামার সময় যদিও বিকেল বা সন্ধ্যায়, তবে ঢাকার মতোই সকালেই অনুশীলনে নামাচ্ছেন ব্রিটিশ কোচ বাটলার। আবহাওয়া ও সময়ের ব্যবধান থাকা সত্ত্বেও এই সিদ্ধান্তের কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা মেলেনি। তবে টিম ম্যানেজমেন্ট বলছে, সিদ্ধান্ত কোচের, ব্যাখ্যাও তিনিই দিতে পারবেন।
বাংলাদেশের গ্রুপে রয়েছে স্বাগতিক মিয়ানমার, বাহরাইন ও তুর্কমেনিস্তান। প্রতিপক্ষ দলগুলো বিকেল ৪টা থেকে ৬টা পর্যন্ত অনুশীলনের সময় রেখেছে। বাহরাইন ট্রেনিং করছে ফিল্ড-১-এ, মিয়ানমার এবং বাংলাদেশ একই ভেন্যু—ফিল্ড-৫-এ অনুশীলন করছে। ম্যাচের সময় মাথায় রেখেই অনুশীলনের সূচি ঠিক করেছে অন্য দলগুলো। কিন্তু বাংলাদেশের সময়সূচি একান্তই কোচের চিন্তার ফসল।
২৫ জুন সকালে ইয়াঙ্গুনে পৌঁছায় বাংলাদেশ দল। এরপর থেকেই বৃষ্টির সঙ্গে যুদ্ধ করে মাঠে নামছে মেয়েরা। আজ অনুশীলন শেষে বাংলাদেশ দলের সিনিয়র গোলরক্ষক রুপ্না চাকমা বলেন,
‘আমরা সবার কাছে দোয়া চাই। তিনটি ম্যাচই যেন ভালো খেলতে পারি। গোলরক্ষক হিসেবে আমাদের দায়িত্ব গোল সেভ করা। কোচের নির্দেশনায় কঠোর অনুশীলন করছি।’
দক্ষিণ এশিয়ার দুইবারের চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ এবার চায় এশিয়ান পর্বেও নিজেদের শক্তির প্রমাণ দিতে। সেটিই জানালেন গোলরক্ষক কোচ মাসুদ উজ্জ্বল,
‘এশিয়ান পর্যায়ে যে ধাচের পারফরম্যান্স দরকার আমি সেভাবে গোলরক্ষক রুপ্না ও অন্যদের তৈরি করছি। আশা করছি আমরা ভালো কিছু করেই দেশে ফিরব।’