সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ শেষ করেই বাংলাদেশ নারী দল ছুটছে লাওসে। ৬ আগস্ট থেকে শুরু হতে যাওয়া এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্বে কঠিন গ্রুপে পড়েছে লাল-সবুজের মেয়েরা। তবে লক্ষ্য স্পষ্ট—ভালো খেলে থাইল্যান্ডে মূল পর্বে জায়গা করে নেওয়া।
বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল একের পর এক টুর্নামেন্ট নিয়ে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছে। মিয়ানমারে এএফসি নারী এশিয়ান কাপের বাছাইপর্ব খেলে এসে তারা অংশ নেয় ঢাকায় অনুষ্ঠিত সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী টুর্নামেন্টে। এবার সেই দলই প্রস্তুত লাওসে অনুষ্ঠিতব্য এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্বে অংশ নিতে। আগামী পরশু দিন (২ আগস্ট) দলটি রওনা দেবে লাওসের রাজধানী ভিয়েনতিয়ানের উদ্দেশ্যে।
এই উপলক্ষে আজ (৩১ জুলাই) বিকেলে বাফুফে ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক আফিদা খন্দকার বলেন,‘আমরা সেখানে ভালো খেলে কোয়ালিফাই করার জন্যই যাচ্ছি। টানা খেলার মধ্যে আছি, তাই সবাই গেম টাইম পেয়েছে। যারা এশিয়ান কাপে খেলেছি, আমরা কিছুটা বিশ্রাম নিয়েই নামি সাফে। ফলে তেমন ক্লান্তি নেই।’
বাংলাদেশ শেষ কয়েক বছরে এএফসির বয়সভিত্তিক প্রতিযোগিতায় কম অংশ নিয়েছে। ফলে র্যাঙ্কিং কম থাকায় এবার কঠিন গ্রুপেই পড়েছে। বাংলাদেশের গ্রুপে আছে এশিয়ার অন্যতম শক্তিশালী দল দক্ষিণ কোরিয়া, স্বাগতিক লাওস এবং তুলনামূলক সহজ প্রতিপক্ষ তুর্কমেনিস্তান।
গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন ও সেরা তিন রানার্সআপকে নিয়ে গঠিত হবে ২০২৫ সালের থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় মূলপর্ব। বাংলাদেশ জানে তাদের সামনে কাজটা সহজ নয়। দলের কোচ পিটার বাটলার বলেন,‘দক্ষিণ কোরিয়া নিঃসন্দেহে এই অঞ্চলের সেরা দল। তবে আমাদের প্রথম ম্যাচ লাওসের বিপক্ষে। ওই ম্যাচটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সেটা জিতলে আমরা এগিয়ে থাকতে পারব।’
প্রথম ম্যাচ ৬ আগস্ট লাওসের বিপক্ষে। এরপর ৮ আগস্ট তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে এবং ১০ আগস্ট দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ।
২০১৭ ও ২০১৯ সালে বাংলাদেশ এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে মূলপর্ব খেলেছিল। তবে অনূর্ধ্ব-২০ (পূর্বের অনূর্ধ্ব-১৯) পর্যায়ে এখনো সে কীর্তি নেই। ২০১৯ সালের পারফরম্যান্সের প্রসঙ্গ তুললে কোচ খানিক মজার ভঙ্গিতেই বলেন,‘এটা ২০২৫ সাল, ২০১৯ নয়। আগের ইতিহাস নিয়ে পড়ে থাকলে হবে না। আমাদের সামনে তাকাতে হবে।’
এই দলে সাফ অনূর্ধ্ব-২০ টুর্নামেন্ট খেলা ২৩ জনই রয়েছেন। তাদের মধ্যে ৯ জন আছেন যারা আগে সিনিয়র দলে ছিলেন। তাই আসন্ন ম্যাচগুলো এশিয়ান কাপের মতো কঠিন প্রতিযোগিতার প্রস্তুতির জন্য সহায়ক হবে বলেই মনে করছেন অধিনায়ক আফিদা,‘অবশ্যই এই ম্যাচগুলো আমাদের অনেক কাজে দেবে। বিশেষ করে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটি বড় চ্যালেঞ্জ, আর সেটাই আমাদের প্রস্তুতির বাস্তব মাপকাঠি।’
বাংলাদেশের ম্যাচ সূচি (ভিয়েনতিয়ান, লাওস):
📅 ৬ আগস্ট: বাংলাদেশ বনাম লাওস
📅 ৮ আগস্ট: বাংলাদেশ বনাম তুর্কমেনিস্তান
📅 ১০ আগস্ট: বাংলাদেশ বনাম দক্ষিণ কোরিয়া