গেল ৫ মৌসুম বাংলাদেশের ফুটবলে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করেছে বসুন্ধরা কিংস। জিতেছিল টানা ৫টি লিগ শিরোপা। তবে সবশেষ মৌসুমটা আশানুরূপ যায়নি। লিগ শিরোপা হাতছাড়া করে শেষ করেছে ৩য় স্থানে থেকে। তবে পাকিস্তানি ক্লাবের লাইসেন্স না থাকায় সুযোগ মিলেছে এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের প্লে অফ খেলার। তাই নতুন মৌসুমে সবকিছু নতুন করে সাজানোর পরিকল্পনা করছে দলটি।
এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে গত আসরে সরাসরি গ্রুপ পর্বে খেলেছিল বসুন্ধরা কিংস। কিন্তু ৩ ম্যাচের সবগুলো হেরে বিদায় নিয়েছে তলানিতে থেকে। এরপর ঘরোয়া ফুটবলে বাংলাদেশ ২.০ চ্যালেঞ্জ কাপ ও ফেডারেশন কাপের শিরোপা জিতলেও লিগ শিরোপা জিততে পারেনি। একইসঙ্গে গেল কয়েক মৌসুমের দাপুটে কিংসকে সবশেষ মৌসুমে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
গণমাধ্যমে বসুন্ধরা কিংস সভাপতি ইমরুল হাসান জানিয়েছেন নতুন মৌসুমে রোমানিয়ান কোচ ভ্যালেরিউ তিতার সঙ্গে আর চুক্তি নবায়ন হচ্ছে না। তার জায়গায় নতুন কাউকে নিয়োগ দেওয়া হবে। নির্দিষ্ট করে কারো নাম না বললেও বেশ কয়েকজনকে নিয়ে বিচার-বিশ্লেষণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইমরুল হাসান।
এদিকে সবশেষ মৌসুমে প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি কিংসের বিদেশি ফুটবলাররা। তাই নতুন মৌসুমে সব বিদেশিকে ছেড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা ক্লাবটির। তাদের বদলে নতুন করে বিদেশি ফুটবলার আনা হবে। একইসঙ্গে দেশীয় খেলোয়াড়দের মধ্যেও কয়েকজনকে ছেড়ে দিয়ে আনা হবে অন্য কাউকে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কয়েকজন খেলোয়াড়ের কিংসে যোগ দেওয়ার খবর প্রকাশ হলেও কারো সাথেই এখনো আনুষ্ঠানিক চুক্তি হয়নি বলে জানিয়েছেন ইমরুল হাসান।
এদিকে আগামী ১২ আগষ্ট এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের প্লে অফে বসুন্ধরা কিংসের প্রতিপক্ষ হবে সিরিয়ান একটি ক্লাব। তাদের লিগ চলমান থাকায় এখনো প্রতিপক্ষ চূড়ান্ত হয়নি। তবে ক্লাব র্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়ে থাকায় সিরিয়ায় গিয়ে অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে হবে। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে সেখানে ম্যাচ খেলতে আগ্রহী নয় কিংস। নিরাপত্তা শঙ্কায় এএফসিকে চিঠি দিয়েছে তারা। কোন নিরপেক্ষ ভেন্যু কিংবা নিজেদের মাঠে ম্যাচ আয়োজনেও নিজেদের আগ্রহের কথা জানিয়েছে কিংস কর্তৃপক্ষ। এবার এএফসির সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় তারা।