সাফে টানা শিরোপা, র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি, জর্ডান-ইন্দোনেশিয়ার মতো দলের সঙ্গে সমান তালে লড়াই—সবমিলিয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় শক্তিশালী অবস্থান গড়ে তুলেছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। সাম্প্রতিক এই ধারাবাহিক সফলতার পেছনে মূল ভরসা ছিল দেশীয় খেলোয়াড়রাই। সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে এবারও প্রবাসী নয়, স্থানীয় ফুটবলারদের দিকেই আস্থা রাখছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নারী উইং।
বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রেখেছে। টানা দুইবার সাফ জয়ের পাশাপাশি ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে পাঁচ ধাপ উন্নতি করেছে। সম্প্রতি ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে শক্তিশালী ইন্দোনেশিয়া ও জর্ডানের সঙ্গে ড্র করেছে বাংলাদেশ। এছাড়া বয়সভিত্তিক প্রতিটি টুর্নামেন্টেই সাফল্য পাচ্ছে লাল-সবুজের মেয়েরা।
এই ধারাবাহিক উন্নতির পেছনে বড় ভূমিকা রাখছে দেশীয় প্রতিভা। তাই ছেলেদের দলে প্রবাসীদের যেমন দেখা যায়, মেয়েদের দলে সে পথ অনুসরণ করতে চাইছে না বাফুফের নারী উইং।
নারী উইং কমিটির চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেন, ‘প্রবাসী ফুটবলাররা সাময়িক সাফল্যের টোটকা হতে পারে। তবে ঘরের মাটিতে তৈরি খেলোয়াড়দের দিয়ে দল গড়লে সেই সাফল্য হয় দীর্ঘস্থায়ী। টানা দুটি সাফ জিতে আমরা তার প্রমাণ পেয়েছি। এখন আমাদের লক্ষ্য দক্ষিণ এশিয়া ছাড়িয়ে পুরো এশিয়ায় নিজেদের প্রমাণ করা।’
প্রবাসী নারী ফুটবলারদের দলে অন্তর্ভুক্তি নিয়ে আলোচনা হলেও বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত হয়নি বলে জানান কিরণ। তিনি বলেন, ‘একজন প্রবাসী নারী ফুটবলারকে নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। জামাল ভূঁইয়া তাকে নিয়ে কথা বলেছিলেন। কিন্তু দ্বৈত নাগরিকত্ব সংক্রান্ত কিছু জটিলতা থাকায় বিষয়টি এগোয়নি।’
তবে তিনি স্পষ্ট করে জানান, প্রবাসীদের দলে নেওয়ার ক্ষেত্রে তার কোনো আপত্তি নেই। কিরণ বলেন, ‘তারা বাংলাদেশি, সুতরাং আমাদের দলে খেলার অধিকার রাখে। তবে আমি মনে করি, দেশের মাটিতে যারা আছে, তাদের থেকেই যদি আমরা সেরা ফুটবলার তুলে আনতে পারি, সেটাই দীর্ঘমেয়াদে বেশি কার্যকর হবে।’
আগামী ১১ জুলাই বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় বসবে অনূর্ধ্ব-২০ নারী সাফের আসর। যদিও শেষ মুহূর্তে ভারত টুর্নামেন্ট থেকে নাম প্রত্যাহার করেছে। এ বিষয়ে কিরণ বলেন, ‘আমি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ খেলতে পছন্দ করি। তারা না এলে আমার কিছু করার নেই। আমরা শিরোপা জিতেই মাঠ ছাড়তে চাই।’
