এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে তৃতীয় রাউন্ডে জায়গা করে নেওয়ার লড়াইয়ে আগামী ১০ জুন সিঙ্গাপুরের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। জয়ের মাধ্যমে গ্রুপের শীর্ষে ওঠার হাতছানি এখন জামাল ভূঁইয়াদের সামনে। সেই লক্ষ্য সামনে রেখে চলছে জোর প্রস্তুতি।
এর আগে আগামী বুধবার ভুটানের বিপক্ষে একটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে লাল-সবুজের দল। দুই ম্যাচকে সামনে রেখে শনিবার বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় শুরু হয়েছে অনুশীলন ক্যাম্প। তবে আবহাওয়া বাধা হয়ে দাঁড়ানোয় কিছুটা হতাশা প্রকাশ করেছেন দলের অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার রহমত মিয়া। তিনি বলেন, “জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুশীলন হবে, শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আমরা এটাই জানতাম। কিন্তু আবহাওয়ার ওপর তো কারো হাত নেই। বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে। সেজন্য সূচি ও প্রস্তুতির ভেন্যু বদলে গেছে। ওখানে অনুশীলন করতে পারলে ভালো লাগত, কিন্তু এই পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নিতে হবে।”
দলের অনুশীলন ক্যাম্পে এরই মধ্যে যোগ দিয়েছেন ইতালির সেরি ডি’তে খেলা ফাহামিদুল ইসলাম। তবে ইংল্যান্ডে থাকা হামজা চৌধুরী এবং কানাডা প্রবাসী সামিত সোম এখনও ক্যাম্পে যোগ দেননি। হামজা শুক্রবার এবং সামিত রোববার ঢাকায় এসে পৌঁছাবেন বলে জানা গেছে। এই তিন প্রবাসী ফুটবলারকে ঘিরে দলটির মধ্যে আত্মবিশ্বাসের জোয়ার বইছে বলে জানিয়েছেন রহমত মিয়া। তিনি বলেন, “যেহেতু হামজা আমাদের সাথে খেলেছে, সামিত সোমও আসছে, এটা আমাদের জন্য ভালো খবর। এটা আমাদের দলের জন্য ভালো হচ্ছে। এতে স্থানীয় খেলোয়াড়দের মধ্যে অনুপ্রেরণা ও বুস্টআপ কাজ করছে। আমি মনে করি, হামজার সাথে সোম বা যারা আসছে, সেটা আমাদের দলের জন্য ভালো এবং আশা করি, আমরা সবাই মিলে ভালো একটা ফল করব।”
আরেক ডিফেন্ডার ইসা ফয়সাল ফাহামিদুলের প্রশংসা করে বলেন, ‘ফাহামিদুলের সাথে ভালো সময় কাটছে আমাদের। সে আমাদের মতোই মিশুক, খোলা মনের। সে যে প্রবাসী, সেটা আমি বলবো না, সে বাংলাদেশি খেলোয়াড় সেটাই বড় কথা।’
সিঙ্গাপুরকে নিয়ে দল সতর্ক, তবে আত্মবিশ্বাসেও কোনো ঘাটতি নেই বলে জানিয়েছেন ফয়সাল। তিনি বলেন, ‘অবশ্যই সিঙ্গাপুর দলকে আমরা সম্মান করি। ওরা ভালো দল। আমাদের ডিফেন্ডারদের মধ্যেও কৌতুহল আছে, প্রতিপক্ষ যত ভালোই হোক না কেন, আমরা সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করবো দলকে ভালো কিছু দেওয়ার।’