‘ফাহমিদুল, ফাহমিদুল; ওয়েলকাম টু মাদারল্যান্ড’—এমন উচ্ছ্বসিত স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠেছিল হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। ফুল, স্কার্ফ ও ভালোবাসা নিয়ে ইতালি-প্রবাসী মিডফিল্ডার ফাহমিদুল ইসলামকে বরণ করে নেয় বাংলাদেশি ফুটবল আল্ট্রাস ও জাতীয় দলের সমর্থকরা। আসন্ন এশিয়ান কাপ বাছাইপর্ব সামনে রেখে ৩০ মে শুরু হতে যাওয়া জাতীয় দলের ক্যাম্পে প্রাথমিকভাবে ডাক পাওয়া প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে আজ সকালেই ঢাকায় পা রাখলেন ফাহমিদুল।
সকাল আটটায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে রোম থেকে ঢাকায় এসে পৌঁছান এই প্রতিভাবান মিডফিল্ডার। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) প্রটোকল অফিসার। এরপর আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাকে সরাসরি জাতীয় দলের হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়।
জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নামার সম্ভাবনায় খুশি ফাহমিদুলের আগমন শুধু একজন খেলোয়াড়ের প্রত্যাবর্তন নয়, বরং এক দীর্ঘ বিতর্কের অবসান বলেই মনে করছেন অনেকে। চলতি বছরের মার্চে সৌদি আরব ক্যাম্পে অনুশীলনে থাকলেও কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা তাকে মূল স্কোয়াডে রাখেননি। এ সিদ্ধান্ত ঘিরে বাফুফে ও দেশের ফুটবল অঙ্গনে দেখা দেয় তীব্র সমালোচনা। রীতিমতো আন্দোলনে নামেন সমর্থকরা, এমনকি যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া-ও বাফুফে সভাপতিকে তলব করেন। বাফুফের অনেক কর্মকর্তা তখনও বিস্ময় প্রকাশ করেছিলেন ফাহমিদুলকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্তে। জাতীয় দল কমিটির বৈঠকেও কোচকে মুখোমুখি হতে হয়েছিল কঠিন প্রশ্নের। সবমিলিয়ে প্রবল চাপের মুখে পড়ে অবশেষে ফাহমিদুলকে দলে ডেকেছেন কোচ ক্যাবরেরা।
এবার আর কোনো দোটানা নয়—ফাহমিদুল আনুষ্ঠানিক ক্যাম্প শুরুর আগেই হাজির। প্রাথমিক দলে তার অন্তর্ভুক্তি যেন এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা—সমর্থকদের আন্দোলন সফল হয়েছে, এবং জাতীয় দলের জার্সি গায়ে তোলার স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে ফাহমিদুল ইসলাম অনেকটাই এগিয়ে।
এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের প্রস্তুতি শুরু হতে যাচ্ছে ৩০ মে, যেখানে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচটিকে সামনে রেখে গঠিত হচ্ছে মূল দল। আজই প্রাথমিক স্কোয়াড ঘোষণা করার সম্ভাবনা রয়েছে। এরই মাঝে ফাহমিদুলের আগমন ইতোমধ্যেই দল এবং সমর্থকদের মাঝে বাড়িয়েছে আশার আলো।
