এক উজবেক ফুটবলারের পারিশ্রমিক পরিশোধ না করায় ফিফার নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছে ফকিরেরপুল ইয়ংমেন্স ক্লাব। ফলে আগামী মৌসুমের দলবদল কার্যক্রম নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েছে ঐতিহ্যবাহী ঘরোয়া ফুটবল ক্লাবটি। নিষেধাজ্ঞা না উঠলে তারা নতুন কোনো খেলোয়াড় নিবন্ধন করতে পারবে না।

একজন বিদেশি ফুটবলারের পারিশ্রমিক নিয়ে ঝামেলায় ফিফার নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছে ফকিরেরপুল ইয়ংমেন্স ক্লাব। বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার পাঠানো এই নির্দেশনা বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ইতোমধ্যে পেয়েছে। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত ক্লাবটি আর কোনো ফুটবলার নিবন্ধন করতে পারবে না।

ফকিরেরপুল ইয়ংমেন্স ক্লাবের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আলী বলেন, ‘একজন খেলোয়াড়ের আর্থিক পারিশ্রমিক ইস্যুতে এটি হয়েছে। আমরা দ্রুত সেটি সমাধান করে আসন্ন মৌসুমের কার্যক্রম এগিয়ে নিতে চাই।’

২০২৫-২৬ মৌসুমের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের দলবদল শুরু হয়েছে ১ জুন, চলবে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত। অর্থাৎ, ফকিরেরপুলের হাতে সময় খুব বেশি নেই। এর মধ্যে নিষেধাজ্ঞা না উঠলে দলবদলে অংশ নিতে পারবে না তারা।

গত মৌসুমে ক্লাবটির ম্যানেজার পিপুল বলেন, ‘একজন উজবেক ফুটবলার ফকিরেরপুলে খেলেছিল। তার পারিশ্রমিক নিয়ে আমরা ফিফায় আবেদন করেছি। সেই আবেদন নিষ্পত্তি না করায় এই নিষেধাজ্ঞা এসেছে। পাওনা ও জরিমানা মিলিয়ে ২০ লাখ টাকার ওপরে হতে পারে।’

ফিফা বরাবরই ক্লাব ও ফেডারেশনকে খেলোয়াড়-কোচদের অর্থনৈতিক বিষয় নিষ্পত্তিতে কঠোর অবস্থানে রাখে। বাংলাদেশেও এমন ঘটনা নতুন নয়। গত মৌসুমেও গুঞ্জন ছিল, বসুন্ধরা কিংসের বিরুদ্ধেও এমন নিষেধাজ্ঞা ছিল। যদিও ক্লাব কিংবা ফেডারেশন কোনো পক্ষই তা স্বীকার করেনি।

ফকিরেরপুল ইয়ংমেন্স বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবলের অন্যতম পুরনো ক্লাব। ‘ক্যাসিনোকাণ্ড’–এর পর দীর্ঘ সময় ধরে ক্লাবটি সংকটে থাকলেও, গত মৌসুমে তারা চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ থেকে প্রিমিয়ার লিগে উঠেছে এবং প্রথম মৌসুমেই অবনমন এড়াতে পেরেছে।

তবে এবার তাদের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ—ফিফার নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে আবারও দল গোছানো এবং লিগে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রস্তুতি নেওয়া।

Previous articleসাফ অনূর্ধ্ব-২০: শেষ মুহূর্তে তৃষ্ণার গোল, নেপালকে ৩–২ গোলে পরাজিত করল বাংলাদেশ
Next articleজয়ের ধারা অব্যাহত বাংলাদেশের মেয়েদের!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here