কয়েকদিন পরেই ভারতের শিলংয়ের জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও স্বাগতিক ভারত। এর আগে আজ প্রীতি ম্যাচে মালদ্বীপের বিপক্ষে খেলবে স্বাগতিকরা। ম্যাচকে সামনে রেখে নিজেদের প্রস্তুতি নিয়ে কথা বলেছেন ভারতের প্রধান কোচ মানোলো মার্কেজ।

মাত্র ৮ মাস আগে আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানানো ভারতীয় কিংবদন্তি সুনীল ছেত্রী আবারও জাতীয় দলের জার্সিতে ফিরছেন। তার প্রত্যাবর্তন নিয়ে ইতিমধ্যেই ফুটবল মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে। জাতীয় দলে ফেরার প্রস্তাবটি সরাসরি দিয়েছিলেন কোচ মানোলো মার্কেজ, যা ছেত্রী গ্রহণ করেছেন। চলতি মৌসুমে আইএসএলে (ইন্ডিয়ান সুপার লিগ) ভারতীয়দের মধ্যে শীর্ষ গোলদাতা ছিলেন তিনি, যা তার ফিটনেস ও পারফরম্যান্সের শক্ত প্রমাণ। কোচ মার্কেজও জানিয়েছেন, “ছেত্রীর বয়স ২০ হোক বা ৪০, যদি ফিটনেস থাকে, তবে সে খেলবেই। জাতীয় দলে তৈরি খেলোয়াড়দের দরকার হয়, এখানে কাউকে গড়ে তোলা হয় না। দলের প্রধান লক্ষ্য ম্যাচ জেতা, তাই সেরা ফর্মে থাকা ফুটবলারদেরই আমরা খেলাব।”

বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচের আগে নিজেদের ঝালিয়ে নিতে ভারত মালদ্বীপের বিপক্ষে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে। সেই ম্যাচেই মাঠে দেখা যাবে ছেত্রীকে। যদিও তিনি শুরু থেকে খেলবেন নাকি বদলি হিসেবে নামবেন, তা এখনও নিশ্চিত নয়। কোচ বলেন, “আমরা ছয়টি পরিবর্তন করতে পারব, অর্থাৎ ১৭ জন ফুটবলার খেলতে পারবে। তাদের মধ্যেই থাকবে সুনীল।”

মালদ্বীপের বিপক্ষে আজকের এই প্রীতি ম্যাচকে শুধুমাত্র অনুশীলন নয়, বরং গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তুতি ম্যাচ হিসেবে দেখছে ভারত। কোচের ভাষায়, “আমরা ম্যাচটি জিততে চাই এবং বাংলাদেশ ম্যাচের আগে সেরা দল গুছিয়ে নিতে চাই। তবে একই দল দুই ম্যাচে খেলবে না। কিছু পরিবর্তন অবশ্যই থাকবে, তবে পুরো ১১ জনকে বদলানো সম্ভব নয়।”

এদিকে, বাংলাদেশ শিবিরেও উন্মাদনা কম নয়। এই ম্যাচেই অভিষেক হতে যাচ্ছে ইংলিশ চ্যাম্পিয়নশিপ ক্লাব শেফিল্ড ইউনাইটেডের মিডফিল্ডার হামজা চৌধুরীর। তার সংযোজন লাল-সবুজের মিডফিল্ডে কতটা শক্তি বাড়াবে, সেটি নিয়ে বাংলাদেশি সমর্থকদের মধ্যে দারুণ আগ্রহ রয়েছে।

ভারত ও বাংলাদেশের ফুটবল দ্বৈরথ বরাবরই উত্তেজনার জন্ম দেয়। ভারতের মাটিতে খেলা হলেও, বাংলাদেশ দলও লড়াই করার জন্য প্রস্তুত। সাম্প্রতিক সময়ে তরুণ ফুটবলারদের পারফরম্যান্স আশাব্যঞ্জক। অন্যদিকে, ভারতের জন্য সুনীল ছেত্রীর ফেরা বড় অনুপ্রেরণা হতে পারে, তবে দীর্ঘ বিরতির পর তিনি জাতীয় দলে আগের মতো পারফর্ম করতে পারবেন কি না, সেটিও ভাবনার বিষয়।

আগামী ২৫ মার্চ দুই দলই নিজেদের সেরাটা দিয়ে মাঠে নামবে, আর ফুটবলপ্রেমীরা অপেক্ষা করছেন এক হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের জন্য!

Previous articleজামালের কাছে হামজা “বাংলাদেশের মেসি’’!
Next articleভক্তদের দাবি পূরণে বাফুফে সভাপতির আশ্বাস!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here