পুরুষ দলের সঙ্গে এবার নারীরাও এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে মাঠে নামার অপেক্ষায়। এর আগে প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ত্রিদেশীয় সিরিজে ইন্দোনেশিয়া ও জর্ডানের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে খেলে বাংলাদেশ। দুই ম্যাচই ড্র করে দেশে ফিরেছে বাঘিনীরা। শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে খেলোয়াড়দের মানসিক দৃঢ়তায় গর্বিত নারীদের ইংলিশ কোচ পিটার বাটলার। প্রতিকূল কন্ডিশনে ফুটবলাররা যেভাবে সাহসের সঙ্গে পারফর্ম করেছে, তাতে মুগ্ধ তিনি। আগামী ২৯ জুন থেকে শুরু হওয়া এফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ফুটবলারদের কাছে এমন ধারাবাহিকতাই চান বাটলার।

জর্ডান সফর সম্পর্কে নারী দলের কোচ পিটার বাটলার বেশ সন্তুষ্ট। ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে অনেকটাই এগিয়ে থাকা ইন্দোনেশিয়া ও জর্ডানের বিপক্ষে ড্র করা বাংলাদেশের জন্য নিঃসন্দেহে বড় অর্জন। এই দুই প্রীতি ম্যাচে দলের খেলায় ইতিবাচক অনেক দিক লক্ষ্য করেছেন তিনি। দুই ড্রয়ের সাফল্য নিয়ে বৃহস্পতিবার ঢাকায় ফিরে এসেছে দল। অল্প কয়েকদিন বিশ্রামের পরই আবারো মাঠে নামবে দল। এই মাসের শেষ দিকে মিয়ানমারে অনুষ্ঠিতব্য নারী এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বকে সামনে রেখে প্রস্তুতির গতি বাড়াতে চান বাটলার।

‘সি’ গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ হিসেবে রয়েছে তুর্কমেনিস্তান, বাহরাইন ও স্বাগতিক মিয়ানমার। র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ আছে ১৩৩তম স্থানে। এর মধ্যে তুর্কমেনিস্তান (১৪১তম) একমাত্র দল যারা র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের নিচে। অন্যদিকে, মিয়ানমার রয়েছে ৫৫তম ও বাহরাইন ৯২তম স্থানে — যা দলকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবে।

তবে কঠিন এই পথচলাও অসম্ভব নয় বলে মনে করছেন বাটলার। জর্ডান সফরের সাফল্য দলের আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বাড়িয়েছে। ৩৯ ধাপ এগিয়ে থাকা ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে গোলশূন্য ড্র এবং ৫৯ ধাপ এগিয়ে থাকা জর্ডানের সঙ্গে ২-২ গোলের ড্র প্রমাণ করেছে মেয়েদের উন্নতি। এখন দলকে আরও প্রস্তুত করতে চান কোচ বাটলার। থাইল্যান্ডে তিন-চার দিনের একটি নিবিড় ক্যাম্প করার পরিকল্পনাও তার রয়েছে, যাতে মিয়ানমারে যাওয়ার আগে সবকিছু গুছিয়ে নেয়া যায়।

এ বিষয়ে বাটলার বলেন, “জর্ডানে মেয়েদের পারফরম্যান্স ছিল অসাধারণ। উচ্চ র‍্যাঙ্কিংয়ের দলগুলোর বিপক্ষে তারা সাহসী ফুটবল খেলেছে। এখন তাদের আজ ও কাল বিশ্রামে রাখা হবে, রোববার থেকে আবার অনুশীলন শুরু করব।”

এর সঙ্গে তিনি আরও যোগ করেন, “মিয়ানমারে যাওয়ার আগে থাইল্যান্ডে কিছুদিনের ক্যাম্প করতে চাই। ইতিবাচক পরিবেশে নিজেদের প্রস্তুত করার জন্য এটা দরকার।”

জর্ডানের বিপক্ষে গোল পেয়েছেন শামসুন্নাহার জুনিয়র ও শাহেদা আক্তার রিপা। ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে সুযোগ পেলেও ঋতুপর্ণা চাকমা ও মনিকা চাকমারা তা কাজে লাগাতে পারেননি। ফরোয়ার্ডদের পারফরম্যান্সে মোটামুটি সন্তুষ্ট হলেও, আরও কঠিন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে খেলার অভিজ্ঞতা জরুরি বলেই মনে করছেন বাটলার।

তার ভাষায়, “আগের সফরের তুলনায় এবারের পারফরম্যান্সে দল অনেক বেশি ইতিবাচক ও গোছানো ছিল। ফরোয়ার্ডদের নিয়ে আমি খুশি, কিন্তু তাদের আরও বেশি কঠিন দলের বিপক্ষে খেলার প্রয়োজন রয়েছে। কারণ, আমার স্বপ্ন কেবল মিয়ানমার সফরে আটকে নেই।”

নারীদের এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে আগামী ২৯ জুন বাহরাইন, ২ জুলাই স্বাগতিক মিয়ানমার ও ৫ জুলাই তুর্কমেনিস্তানকে মোকাবেলা করবে বাংলাদেশ। এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিতে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার বিকল্প নেই।

Previous articleবাংলাদেশকে সতর্কবার্তা দিয়ে রাখলো সিঙ্গাপুর
Next articleশমিতের প্রথম অনুশীলন, ফান্ডিকে থামাতে প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here