তিক্ততা কাটিয়ে বিদ্রোহী খেলোয়াড়দের বেতন কাঠামোর ভেতরে এনেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। কোচ পিটার বাটলারের সাথে দ্বন্দের কারণে মোট ১৮ জন বিদ্রোহী খেলোয়াড়কে চুক্তির বাইরে রেখেছিলো বাফুফে। অবশেষে সেই ১৮ জনও চুক্তিতে এসেছে, তবে তার জন্য বাফুফেকে বেতন কাঠামোতে পরিবর্তন নিয়ে আসতে হয়েছে।
গত জানুয়ারি মাসে বাফুফের সাথে কোচ পিটার বাটলারের নতুন চুক্তির পর বেঁকে বসে জাতীয় নারী ফুটবল দলের কিছু সিনিয়র প্লেয়ারসহ সর্বমোট ১৮ জন ফুটবলার। তারা পিটার বাটলারের উপর নানা অভিযোগ তুলে তার অধীনে কোচিং করবে না বলে জানিয়ে দেয়। তবে এক্ষেত্রে পেশাদারিত্বের পরিচয় দিতে দেখা গিয়েছে ফেডারেশনকে। খেলোয়াড়দের শিশুসুলভ অভিযোগ আমলে নেয় নি বাফুফে, বরং কোচ পিটার বাটলারের সাথে চুক্তি অব্যহত রাখে এবং বিদ্রোহী খেলোয়াড়দের ছুটিতে পাঠায়।
সময়ের পরিক্রমায় খেলোয়াড়দের সাথে সকল তিক্ততা কাটিয়ে উঠেছে বাফুফে। তাদেরকেও বাফুফের বেতন কাঠামো’তে এনেছে। এই প্রসঙ্গে বাফুফের নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ জানান, “বাকি ১৮ জন খেলোয়াড় ছয় মাসের জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন। চুক্তির মেয়াদ স্বাক্ষরের তারিখ থেকেই কার্যকর হয়েছে। এর ফলে চুক্তিবদ্ধ নারী ফুটবলারের সংখ্যা এখন দাঁড়িয়েছে ৫৩ জনে।”
বিদ্রোহী ফুটবলারদের সাথে তিক্ততা কারণে পূর্বে মাত্র ৩৫ জন নারী ফুটবলারকে বেতনের কাঠামোর আওতায় এনেছিলো বাফুফে। পরবর্তীতে ১৮ জন বিদ্রোহী খেলোয়াড়ের ৮ জন গত ফেব্রুয়ারিতে বাটলারের অধীনে ক্যাম্পে যোগ দেয়। যদিও বাকি ১০ জনের কেউই ক্যাম্পে যোগ দেয় নি। বর্তমানে ক্যাম্পে যোগ না দেওয়া ১০ জন খেলোয়াড় ভুটানে নারী লিগে ব্যস্ত সময় পার করছে।
ভুটানে অবস্থানরত খেলোয়াড়রা হলেন- সাবিনা খাতুন, সানজিদা আক্তার, মারিয়া মানডা, ঋতুপর্ণা চাকমা, মনিকা চাকমা, মাসুরা পারভিন, কৃষ্ণা রানী সরকার, রুপনা চাকমা, শামসুন্নাহার সিনিয়র ও মাতসুশিমা সুমাইয়া। ভুটানে অবস্থান করার কারণে চুক্তির ক্ষেত্রে তাদেরকে অনলাইনে চুক্তির কপি পাঠিয়েছিলো ফেডারেশন।
পূর্বের বেতন কাঠামো অনুযায়ী সাবিনা খাতুন সহ সিনিয়র প্লেয়াররা ৫৫ হাজার টাকা করে পেতেন। নতুন চুক্তিতে সাবিনাদের বেতন কাঠামোতে এসেছে পরিবর্তন, বৃদ্ধি পেয়েছে টাকার অংক। তবে নতুন বেতন কাঠামো অনুযায়ী সাবিনাদের বেতনের পরিমাণ কত হবে তা সম্পর্কে সুস্পষ্ট কোনো বক্তব্য রাখে নি ফেডারেশন।