ইতিমধ্যে নির্বাচনী আমেজে সরগরম ফুটবল পাড়া। গতকাল চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন নির্বাচন কমিশন। কিন্তু ফুটবলের এতো নামকরা ও অভিজ্ঞতা সম্পন্ন প্রার্থীদের মধ্যে চোখ আটকে যায় ২৬ নম্বরের ব্যালট প্রাপ্ত সদস্য প্রার্থীর দিকে। উত্তরবঙ্গের তরুণ ক্রীড়া সংগঠক রায়হান কবির যিনি নোমি নোমান নামে পরিচিত, এই ব্যালট নম্বর নিয়ে বাফুফের সদস্য পদের জন্য লড়াই করতে যাচ্ছেন।
মাত্র ২৭ বছর বয়সেই দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থায় নির্বাচন করার বিষয়টি অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগিয়েছে। এতো কম বয়সে কেন নির্বাচনে? উত্তরে রায়হান কবির বলেন, ‘আমাদের ফুটবলে অনেকেই প্রতিবাদ করে, উন্নয়ন চায়; তা বাইরে থেকে সম্ভব নয়। ফেডারেশনের ভিতরে গিয়ে প্রতিবাদ করে উন্নতির ছোঁয়া নিজ দায়িত্বে লাগাতে হবে এটাই আমি বিশ্বাস করি। এছাড়া তরুন সংগঠকদের কোন প্যানেল নির্বাচন করতে আহ্বান জানায় না, আমি নির্বাচনে দাড়িয়ে দেশের সকল আধুনিক চিন্তাধারার তরুণদের আগ্রহী করার এবং সাহস দেয়ার চেষ্টা করছি যে ইচ্ছা থাকলে সবই সম্ভব।’
কুড়িগ্রামে ক্রীড়া উন্নয়ন সমিতি গঠনের মধ্য দিয়ে শুরু। নিজ এলাকা ছাড়িয়ে আস্তে আস্তে পুরো উত্তরবঙ্গের ক্রীড়ায় নিজের দক্ষতার ছাপ রাখতে শুরু করেন রায়হান কবির। ফুটবলের পাশাপাশি অন্যান্য খেলা এবং খেলোয়াড়দেরও সহযোগীতা করে চলেছেন। তৃণমূলের ফুটবল নিয়ে কাজ করছেন বহুদিন ধরে। যে বয়সভিত্তিক ও একাডেমি ফুটবল নিয়ে দেশের ফুটবল সমর্থকদের আফসোস তাও তিনি করে দেখাচ্ছেন কুড়িগ্রামে। পুরো কুড়িগ্রাম জেলার প্রায় ২০ টি একাডেমিকে নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি তাদের খেলোয়াড়দের সুযোগ করে দিচ্ছেন বড় পর্যায়ে আসার। আয়োজন করেছেন ফুটবলের নগরী অনুর্ধ্ব ১৭ ও ১৮ শিল্ড কাপ।
কুড়িগ্রাম ছাড়িয়ে ঢাকা মাঠে প্রবেশ করেও সফলতার সাথে এগিয়ে চলেছেন। ঢাকায় অনুষ্ঠিত সর্বশেষ পাইওনিয়ার লীগে এফসি উত্তরবঙ্গের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করেন এবং দলকে ফাইনালে নিয়ে যান। একই দায়িত্বে এফসি উত্তরবঙ্গের মহিলা দলকেও নেতৃত্ব দিচ্ছেন যারা দেশের সর্বোচ্চ মহিলা লীগে খেলছে। মূলত তৃণমূল থেকে খেলোয়াড় তৈরির কারিগর হিসেবে কাজ করে সফলতার সাথে এগিয়ে চলেছেন রায়হান কবির।
সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হলে কি করতে চান এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, ‘আমি আমার জেলাসহ উত্তরবঙ্গে তৃণমূলের ফুটবল নিয়ে কাজ করেছি। ছোট বাচ্চাদের ফুটবলে আগ্রহী করে তোলার পাশাপাশি তাদের তৈরি করে বড় মঞ্চে এনেছি। বাফুফে’র সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হতে পারলে আমি পুরো দেশের তৃণমূল ফুটবল নিয়ে কাজ করতে চাই। খেলোয়াড় তৈরির একাডেমি গুলোকে সহযোগীতা করতে চাই। অসহায় খেলোয়াড় ও কোচদের পাশে অর্থাৎ সুবিধা বঞ্চিতদের পাশে দাড়াতে চাই।’
রায়হান কবির স্বতন্ত্র প্রার্থী। কোন রাজনৈতিক হাত নেই তার উপর। তাই তিনি সকলকে আহ্বান জানিয়েছেন যেন বাফুফে’র ভোটারদের কাছে তার ইতিপূর্বে করে আসা কাজ গুলোকে সকলে মিলে তুলে ধরে। তাহলেই জয় সম্ভব।
Previous articleচূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করলো বাফুফে নির্বাচন কমিশন; রয়েছে বাদল রায়ের নাম
Next articleআসলাম-মারুফ’রা গড়লেন সমন্বয় পরিষদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here