মুন্সিগঞ্জের মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে আবারও নিজের শক্তির পরিচয় দিল বসুন্ধরা কিংস। শুরুটা ধীরগতির হলেও ম্যাচ গড়াতেই দাপট দেখাল তারা। ব্রাদার্স ইউনিয়নের জালে পাঁচবার বল পাঠিয়ে টানা চতুর্থ জয়ের আনন্দ নিয়ে মাঠ ছাড়ল বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।

বাংলাদেশ ফুটবল লিগে অপরাজিত যাত্রা ধরে রেখেছে বসুন্ধরা কিংস। প্রথম ম্যাচে ড্রয়ের পর তারা টানা চার ম্যাচে জয় তুলে নিল। আগের ম্যাচে রহমতগঞ্জকে পাঁচ গোল দেওয়ার পর আজ ব্রাদার্স ইউনিয়নও একই পরিণতির শিকার হলো।

ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল কিংস। তৃতীয় মিনিটে বক্সে ঢুকে শট নিতে দেরি করায় রাকিব হোসেনের সুযোগটি কর্নারে পরিণত হয়। ১২তম মিনিটে প্রায় নিখুঁত এক সুযোগ নষ্ট করেন দরিয়েলতন। সানডের বাড়ানো ক্রস থেকে দুর্দান্ত শট নিলেও ব্রাদার্সের গোলরক্ষক ইসহাক আলির ফিস্টে হতাশ হতে হয় তাকে।

আক্রমণ চালিয়েই যাচ্ছিল কিংস, কিন্তু গোলের দেখা মিলছিল না। শেষ পর্যন্ত ৪১ মিনিটে রাকিবের ক্রস থেকে দরিয়েলতন জালের দেখা পান। যোগ করা সময়ে আরেকটি চেষ্টা ফিরিয়ে দেন ইসহাক, তবে ফিরতি বল থেকে ফয়সাল আহমেদ ফাহিম ব্যবধান দ্বিগুণ করেন।

অতিরিক্ত সময়ে ব্রাদার্সও সুযোগ পেয়েছিল। জামাল ভূঁইয়ার ফ্রি কিক দারুণ সেভ করেন জিকো। সেই আক্রমণ থেকে আর গোল না হলে ২–০ ব্যবধানে শেষ হয় প্রথমার্ধ।

বিরতির পর পুরো ম্যাচেই আধিপত্য ধরে রাখে কিংস। ৫০ মিনিটে দলের তৃতীয় গোল করেন সানডে। রাকিবের পাস থেকে সহজেই শেষ করেন তিনি। চার মিনিট পর দূরপাল্লার শটে হালি পূর্ণ করেন সোহেল রানা জুনিয়র। ৭৭ মিনিটে ডান দিক থেকে ইমনের ক্রসে দারুণ টার্ন নিয়ে নিজের দ্বিতীয় ও দলের পঞ্চম গোল করেন দরিয়েলতন।

৮৩ মিনিটে কিউবা মিচেল বুলেটগতির শটে প্রায় গোল পেতে বসেছিলেন, বলে সামান্য ত্রুটি না হলে ব্যবধান আরও বাড়ত। শেষ মুহূর্তে একটি গোল শোধ করে ব্রাদার্স। ৯০ মিনিটে জামালের কর্নার থেকে হেডে গোল করেন মোজাম্মেল হোসেন।

এরপর আর কোনো গোল হয়নি। বড় জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ল বসুন্ধরা কিংস, যারা এখন লিগ টেবিলে নিজেদের আধিপত্য আরও পোক্ত করল।

Previous articleবাফুফেকে সহায়তার আশ্বাস ক্রীড়া উপদেষ্টার, ইউরোপীয় মানের কোচ–বেতন বাড়ানো নিয়ে উদ্যোগ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here