ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে ত্রিদেশীয় নারী ফুটবল সিরিজের উদ্বোধনী ম্যাচে আশাব্যঞ্জক শুরু করেও কাঙ্ক্ষিত ফল পায়নি বাংলাদেশ। মালয়েশিয়াকে শুরু থেকে চাপে রাখলেও এক ভুল বোঝাবুঝির সুযোগে হজম করা গোলই শেষ পর্যন্ত প্রথমার্ধের ভাগ্য নির্ধারণ করে দেয়। সফরকারীরা বিরতিতে যায় ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে, আর গোল শোধ করতে না পেরে পিছিয়ে থেকে মাঠ ছাড়ে লাল-সবুজ দল।

২০১৩ সালের পর এই প্রথম জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলছে বাংলাদেশ নারী দল। ম্যাচের শুরুতেই শামসুন্নাহার জুনিয়র, ঋতুপর্ণা চাকমা ও মনিকা চাকমাদের ছন্দোময় আক্রমণে রক্ষণে ব্যস্ত ছিল মালয়েশিয়া। সপ্তম মিনিটে অভিষিক্ত সুলতানার দারুণ থ্রু-পাস থেকে শামসুন্নাহার জুনিয়রের ক্রসে মনিকার হেড অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।

এর কিছুক্ষণ পরই সামান্য ইনজুরি নিয়ে খুড়িয়ে খেলতে দেখা যায় মনিকাকে। মাঝমাঠে নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখে আক্রমণ সাজালেও ২৯তম মিনিটে রক্ষণের বড় ভুলের মাশুল দিতে হয় বাংলাদেশকে। লং পাস ধরে এগোতে থাকা নুর আইনসাহ বিনতে মুরাদের সামনে রূপনা চাকমা পোস্ট ছেড়ে এগিয়ে এলে তার সঙ্গে একই লেনে চলে আসেন ডিফেন্ডার কোহাতি কিসকু। দুইজনের সেই সমন্বয়হীনতার সুযোগ নিয়ে কোনাকুনি নির্ভুল শটে মালয়েশিয়াকে এগিয়ে দেন নুর।

বিরতির পর আরও আক্রমণাত্মক হয়ে উঠে বাংলাদেশ। শামসুন্নাহার জুনিয়র, মিম ও ঋতুপর্ণাদের তৈরি কয়েকটি সুযোগ মালয়েশিয়ার রক্ষণ কাটাতে পারেনি। দূরপাল্লার শট, কর্নার কিংবা বক্সে ছোট ছোট পাস—চেষ্টার কমতি ছিল না, কিন্তু প্রতিটি মুহূর্তেই ফিনিশিং দুর্বল হওয়ার পাঁচিল ডিঙোতে ব্যর্থ হয় দল।

শেষ দিকে সমতা ফেরাতে বদলি নামিয়ে আক্রমণ বাড়ালেও মালয়েশিয়ার রক্ষণভাগ ছিল দেয়ালসম মজবুত। সময় নষ্টের কৌশল ও ঘন রক্ষণভারসাম্যে স্বাগতিকদের সব আক্রমণ আটকে দেয় তারা। যোগ করা সময়েও গোলের দেখা না পেয়ে ম্যাচ শেষ করতে হয় ১-০ গোলের হতাশার ফল নিয়ে।

ত্রিদেশীয় সিরিজের শুরুটা ভালো না হলেও সামনে আরও এক ম্যাচ বাকি। সুযোগ আছে ঘুরে দাঁড়ানোর—সেই প্রত্যাশা নিয়েই পরের ম্যাচে নামবে শামসুন্নাহার জুনিয়র-ঋতুপর্ণারা।

Previous articleমালয়েশিয়ার বিপক্ষে প্রথমার্ধে পিছিয়ে বাংলাদেশ নারী দল
Next articleহাই লাইন ডিফেন্সে বিপত্তি—হারের দায় নিজের কাঁধে নিলেন কোচ বাটলার

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here