বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের তারকা ইংলিশ লিগের ডিফেন্ডার হামজা চৌধুরী অবশেষে সোমবার দুপুরে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন। দেশে ফিরে হোটেলে ঘণ্টা কয়েক বিশ্রাম নিয়েই বিকাল পাঁচটায় জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুশীলনে নেমে পড়েন তিনি। এই তারকাকে এক নজর দেখতে স্টেডিয়ামের বাইরে জড়ো হন শত শত দর্শক। হামজা স্টেডিয়ামে প্রবেশ করার সময় ভক্তদের স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে চারপাশ।
হোটেলে কিছু সময় ভ্রমণক্লান্তি কাটালেও দেশের মাঠে প্রথমবার অনুশীলন করার জন্য তর সইছিল না এই ব্রিটিশ-বাংলাদেশি ডিফেন্ডারের। ক্লোজডোর অনুশীলনে হাভিয়ের কাবরেরার অধীনে কঠোর পরিশ্রম করেন জামাল ভূঁইয়াদের সঙ্গে। কোচ কাবরেরা ২৬ জন ফুটবলারকে নিয়ে প্রাথমিক ক্যাম্প ঘোষণা করলেও প্রথম দুই সেশনে ছিলেন ২৪ জন। তৃতীয় সেশনে এসে দলের সবচেয়ে বড় তারকা হিসেবে যোগ দেন হামজা চৌধুরী। এখন অপেক্ষা কানাডা প্রবাসী শমিত সোমের। বুধবার সকালে ঢাকায় পৌঁছানোর কথা কানাডা জাতীয় দলে দুই ম্যাচ খেলা এই মিডফিল্ডারের।
এদিকে, আগামী ৪ জুন ভুটানের বিপক্ষে ফিফা প্রীতি ম্যাচ ও ১০ জুন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বের ম্যাচকে কেন্দ্র করে টিকিট নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র অসন্তোষ। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) সাধারণ দর্শকদের জন্য অনলাইনে ১৮ হাজার ৩০০ টিকিট ছাড়লেও দেশের অন্যতম বড় সমর্থক গোষ্ঠী ‘বাংলাদেশী ফুটবল আল্ট্রাস’-এর জন্য বরাদ্দ করেছে মাত্র ১০০টি টিকিট। অথচ আল্ট্রাসের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল ৩ হাজার টিকিটের।
বাফুফের এমন সিদ্ধান্তে ক্ষোভে ফুঁসছে ফুটবল আল্ট্রাস। আজ বিকেল ৩টা থেকে তারা বাফুফে ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে। তাদের অভিযোগ, দেশের মাঠ মাতানো সমর্থকদের বঞ্চিত রেখে বাফুফে টিকিট বিক্রি করেছে বিদেশে। আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া এমনকি উগান্ডার মতো দূর দেশে পর্যন্ত পৌঁছে গেছে ম্যাচের টিকিট।
দেশের মাটিতে জাতীয় দলের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ সামনে রেখে এমন পরিস্থিতি ফুটবলপ্রেমীদের হতাশ করেছে। সমর্থকদের দাবি, স্থানীয় দর্শকদের প্রাধান্য না দিয়ে আন্তর্জাতিক বিক্রয়ে গুরুত্ব দেওয়া অনুচিত। এখন দেখার বিষয়, বাফুফে কি সমর্থকদের চাপে নিজেদের অবস্থান বদলায়, নাকি ক্ষোভ নিয়েই গ্যালারিতে ঢোকার স্বপ্ন অপূর্ণ থেকে যায় হাজারো আল্ট্রাস সদস্যের।