এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের প্লে অফ পেরিয়ে গ্রুপ পর্বে খেলার সুযোগ ছিল ঢাকা আবাহনীর সামনে। তবে ঘরের মাঠে সে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি। কিরগিজস্তানের ক্লাব মুরাস ইউনাইটেডের কাছে ২-০ গোলে হেরে বিদায় নিয়েছে প্লে অফ থেকেই।
ম্যাচের শুরু থেকেই দাপট দেখায় মুরাস ইউনাইটেড। ৮ম মিনিটে আবাহনীর বক্সে সুবিধাজনক জায়গায় বল পেলেও বাইরে মারেন মুরাসের ফুটবলার মারচুক। ১০ মিনিটে গোমেজের জোরালো শট ঠেকিয়ে আবাহনীকে সুরক্ষিত রাখেন মিতুল মারমা। ১৪তম মিনিটে বক্সের সামনে থেকে শেখ মোরসালিনের জোরালো শট প্রতিহত হয় মুরাস ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে।
এরপর ১৮তম মিনিটে ২ জনকে কাটিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন সুলেমান দিয়াবাতে, কিন্তু তার নেওয়া শটটি চলে যায় পোস্টের উপর দিয়ে। এরপর ২২তম মিনিটে আরো একবার দুর্দান্ত সেভ করে দলকে রক্ষা করেন মিতুল। পরের মিনিটেই হাসান মুরাদের কাছ থেকে বল পেয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন আল-আমিন, তবে তার শট আটকে যায় প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারের পায়ে।
এরপর ৩২তম মিনিটে গোলের খুব কাছে চলে যায় আবাহনী। আল-আমিনের দুর্দান্ত পাসে বল নিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন দিয়াবাতে। তার শট প্রতিহত হওয়ার পর ফিরতি বলে ইব্রাহিমের শট যায় পোস্টের বাইরে দিয়ে। এরপর ৩৫তম মিনিটে মুরাস অধিনায়কের বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া শট সহজেই আয়ত্তে নেন মিতুল।
মিনিট তিনেক পর আবারো বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া শট যায় মিতুলের গ্লাভসে। এরপর ৪০তম মিনিটে দিয়াবাতের বাড়ানো বলে সময়মত শট নিতে পারেননি ইব্রাহিম। পরের মিনিটে মোরসালিনের শট যায় পোস্টের উপর দিয়ে। ফলে গোলশূন্য সমতায় শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা।
বিরতির পরপরই লিড নেয় মুরাস ইউনাইটেড। বক্সের বাইরে থেকে বাড়ানো ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে দলকে এগিয়ে দেন জুমাসেভ। এরপর ৫৪তম মিনিটে ফ্রি কিক থেকে গোমেজের হেড জমা পড়ে মিতুলের গ্লাভসে। ম্যাচের ৭২তম মিনিটে দিয়াবাতের পাসে বল পেয়ে মোরসালিনের নেওয়া শট কর্ণারের বিনিময়ে প্রতিহত করে মুরাস রক্ষণ।
এরপর ৭৫তম মিনিটে জাফর ইকবালের এলোমেলো শট চলে যায় পোস্টের অনেক উপর দিয়ে। এরপর আরো বিচ্ছিন্ন আক্রমণ করলেও নিশানা খুঁজে পায়নি স্বাগতিকরা। উল্টো ইনজুরি সময়ে নিজের ও দলের দ্বিতীয় গোল করে আবাহনীকে ম্যাচ ঠিক ছিটকে দেন আতায় জুমাসেভ। ফলে ২-০ গোলের হারে এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের প্লে অফ থেকেই বিদায় নিশ্চিত হয় ঢাকা আবাহনীর; আর গ্রুপ পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে মুরাস ইউনাইটেড।