এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে হংকংয়ের বিপক্ষে নাটকীয় এক ম্যাচে ড্র করেও সন্তুষ্ট নন ফরোয়ার্ড রাকিব হোসেন। তার করা সমতাসূচক গোলেই বাংলাদেশ এক পয়েন্ট পেয়েছে, কিন্তু ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে ঝরেছে জয় না পাওয়ার আক্ষেপ।
রাকিব বলেন, ‘আল্লাহর অশেষ রহমত গোল করছি। বাংলাদেশের জার্সি পড়াই অনেক গর্বের, সেখানে অবশ্যই গোল করা আনন্দের। এটা দলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল। আমরা অনেক কষ্ট করছি, আজ তারই ফল হিসেবে ড্র করতে পারছি। তবে অনেক সুযোগ নষ্ট করেছি—না হলে জিততেই পারতাম।’
ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে বক্সের মধ্যে বল পেয়ে পোস্টে রাখতে পারেননি রাকিব নিজেই। প্রথমার্ধেও হামজার বাড়ানো বলটি কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন তিনি। রাকিবের গোলের সরবরাহকারী ফাহিমও ম্যাচে সবচেয়ে সহজ সুযোগটি মিস করেন।
৯ অক্টোবর ঢাকায় অনুষ্ঠিত হোম ম্যাচেও শেষ মুহূর্তে গোল হজম করে হেরেছিল বাংলাদেশ। এবার হংকংয়ে শেষ বিশ মিনিট দশ জন নিয়ে খেলেছে স্বাগতিক দল, তবু সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি লাল-সবুজেরা। দুই ম্যাচের ফলাফল নিয়েই তাই আফসোস রাকিবের, ‘প্রথম ম্যাচটা আমরা ড্র করতে পারতাম, আজকের ম্যাচটা জিততে পারতাম। আজ সবাই ভালো খেলেছি এবং ভালো পারফরম্যান্স দিয়েছি, যদিও সিলি মিসটেকে গোল খেয়েছি।’
৪০ হাজারের বেশি দর্শকের সামনে খেলতে হয়েছে বাংলাদেশকে। উন্নত মাঠে খেলার অভিজ্ঞতা নিয়েও মন্তব্য করেন রাকিব, ‘স্টেডিয়ামটা দারুণ ছিল, তবে পরিবেশটা আমাদের জন্য প্রতিকূল। এ রকম মাঠ আমরা ডিজার্ভ করি। ভালো মাঠ থাকলে আরও ভালো ফল দিতে পারতাম।’
এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে এখন পর্যন্ত চার ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। ভারত ও হংকংয়ের অ্যাওয়ে ম্যাচে একটি করে পয়েন্ট পেয়েছে, হোম ম্যাচে হেরেছে সিঙ্গাপুর ও হংকংয়ের কাছে। চার ম্যাচেই ছিলেন রাকিব। সেই অভিজ্ঞতা থেকে তিনি বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে ভালো ফুটবল খেলেছি। সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ডমিনেট করেও হেরেছি। শেষ দুই ম্যাচে বল পজিশন ও সুযোগগুলো পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারিনি। তবে আমি বিশ্বাস করি, সামনে আরও ভালো কিছু হবে।’