বাংলাদেশের নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রতিবছর রাষ্ট্রের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রদান করা হয় রোকেয়া পদক। এইবার সেই সম্মান পেয়েছেন জাতীয় নারী ফুটবল দলের তারকা ঋতুপর্ণা চাকমা। পাহাড়ি এলাকার এক সাধারণ পরিবার থেকে উঠে এসে নানা ব্যক্তিগত আঘাত পেরিয়ে জাতীয় দলের অন্যতম ভরসায় পরিণত হওয়া ঋতুপর্ণার হাতে এ পদক তুলে দেওয়া হয়েছে সমাজে নারীদের অগ্রণী ভূমিকার স্বীকৃতি হিসেবে।
ঋতুপর্ণার কাছে এই অর্জন বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি বলেন, “প্রতিটি পুরস্কারই সম্মান এনে দেয়, তবে এবার ব্যক্তিগতভাবে রোকেয়া পদক পাওয়া তার জন্য বিশেষ আনন্দের। এই বছর দলীয়ভাবে একুশে পদক পাওয়ার পর এবার রাষ্ট্রীয় ব্যক্তিগত স্বীকৃতি তাকে আরও অনুপ্রাণিত করছে।”
রাঙামাটির পাহাড়ি পরিবেশ থেকে উঠে আসা ঋতুপর্ণা প্রায় দশ বছর আগে বাবাকে হারান। তিন বছর আগে ছোট ভাইও দুর্ঘটনায় মারা যান। এসব শোক সামলে মাঠে তার ধারাবাহিক পারফরম্যান্স বাংলাদেশ নারী ফুটবলকে নতুন পরিচিতি দিয়েছে। তিনি বলেন, “এমন একজন নারীর নামে পুরস্কার পাওয়া দায়িত্ব আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। দেশ ও সমাজের কাছে আরও কিছু দেওয়ার চেষ্টা করবেন।”
ক্রীড়া ক্ষেত্র থেকে আগে রোকেয়া পদক খুব কমই পাওয়া গেছে। গত বছর পেয়েছিলেন দাবাড়ু রাণী হামিদ। এবার ফুটবল থেকে এ সম্মান এল ঋতুপর্ণার হাতে। তিনি আশা করছেন, ভবিষ্যতে আরও নারী ক্রীড়াবিদ এই স্বীকৃতি পেলে তা সবাইকে উৎসাহিত করবে।




