জাতীয় ফুটবল দলের উঠতি তারকা শেখ মোরসালিনের বিরুদ্ধে যৌতুকের মামলা হয়েছে, যা দেশের ফুটবল অঙ্গনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। তার স্ত্রী সেঁজুতি বিনতে সোহেল ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা দায়ের করেন, যেখানে মোরসালিনের বিরুদ্ধে ২০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি এবং মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়েছে। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে মোরসালিনকে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেছে। বিষয়টি সামনে আসার পর থেকেই এটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে, বিশেষ করে জাতীয় দলে তার বর্তমান অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ জাতীয় দলের ম্যানেজার আমের খান বলেন,
“এটি সম্পূর্ণ তার ব্যক্তিগত বিষয়, যা জাতীয় দলের প্রস্তুতিতে কোনো প্রভাব ফেলবে না। সে যথাসময়ে ক্যাম্পে যোগ দেবে। তবে যদি বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে বাফুফের কাছে আসে, তখন আমরা এটি পর্যালোচনা করব।” উল্লেখ্য, আসন্ন বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচের জন্য ঘোষিত প্রাথমিক স্কোয়াডে মোরসালিনের নাম রয়েছে এবং আগামীকাল রাজধানীর হোটেল আমারিতে দলের আবাসিক ক্যাম্প শুরু হবে।
অন্যদিকে, পারফরম্যান্সের দিক থেকে মোরসালিনের দলে অন্তর্ভুক্তি নিয়েও সমালোচনা চলছে। চলমান বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের প্রথম পর্বে তিনি মাত্র ৭৩ মিনিট খেলেছেন। তিনটি ম্যাচে বদলি হিসেবে নেমে রহমতগঞ্জের বিপক্ষে ১৩ মিনিট, মোহামেডানের বিপক্ষে ১১ মিনিট এবং চট্টগ্রাম আবাহনীর বিপক্ষে ৪৯ মিনিট মাঠে ছিলেন। এত অল্প সময় মাঠে থেকেও জাতীয় দলের স্কোয়াডে জায়গা পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকে, বিশেষ করে যখন লিগে ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলেও অনেক ফুটবলার সুযোগ পাননি। সব মিলিয়ে মাঠের পারফরম্যান্স ও ব্যক্তিগত জীবনের বিতর্ক—দুই দিক থেকেই শেখ মোরসালিন এখন সংবাদের শিরোনামে।