নাটকীয়তা পরিপূর্ণ ছিল এবারের ফেডারেশন কাপ ফুটবলের ফাইনাল। টান টান উত্তেজনার মধ্য দিয়ে টাইব্রেকারে আবাহনীকে হারিয়ে শিরোপা নিজেদের করে নিয়েছে বসুন্ধরা কিংস। তবে এই ফাইনালের গল্প যেন কেবল মাঠেই সীমাবদ্ধ ছিল না—বাতাসে ছিল উত্তেজনার গন্ধ, ছিল ঝড়-বৃষ্টির বাধা এবং আলো স্বল্পতার কারণে ম্যাচ স্থগিতের নাটকীয়তাও।
প্রথমে ম্যাচ চলাকালীন দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে উত্তেজনার কারণে মাঠে কার্ডের ছড়াছড়ি হয়। এরপর হঠাৎ কালবৈশাখীর ঝড়—যার কারণে প্রায় এক ঘণ্টা খেলা বন্ধ থাকে। শেষ দিকে আলোর স্বল্পতার কারণে অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হতেই পারেনি, ফলে ফাইনালটি এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত করা হয়। সেই অসমাপ্ত ম্যাচ আজ শেষ হয়েছে এবং শেষ হাসি হেসেছে বসুন্ধরা কিংস।
টাইব্রেকারে জয়ের মাধ্যমে কিংসরা জিতে নিয়েছে ফেডারেশন কাপের শিরোপা। এই জয়ের নায়ক ছিলেন গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ, যিনি টাইব্রেকারে গুরুত্বপূর্ণ সেভ করে হয়েছেন ফাইনালের ম্যাচসেরা।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানেও ছিল আলোচনা। এবারের টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় ছিলেন রেকর্ড সাতজন ফুটবলার, যারা প্রত্যেকেই তিনটি করে গোল করেছেন। তবে তাদের মধ্যে দুই ফাইনালিস্ট দলের খেলোয়াড় তপু বর্মণ (বসুন্ধরা কিংস) ও মোহাম্মদ ইব্রাহীম (আবাহনী) সরাসরি পুরস্কার গ্রহণ করেন। বাকি পাঁচজন—আরিফ হোসেন (মোহামেডান), নাবিব নেওয়াজ জীবন ও স্যামুয়েল বোয়েটেং (রহমতগঞ্জ), সাজ্জাদ হোসেন ও মুস্তাফা দ্রামাহ (ব্রাদার্স)—পুরস্কার অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন। তাদের পুরস্কার পরে পৌঁছে দেবে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।
এছাড়া বসুন্ধরা কিংসের তপু বর্মণ পেয়েছেন টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের স্বীকৃতি। অন্যদিকে, আবাহনীর মিতুল মারমা হয়েছেন টুর্নামেন্টের সেরা গোলরক্ষক।
ফেয়ার প্লে ট্রফি জিতেছে পুরোনো ঢাকার ক্লাব রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটি, যারা এবারের আসরে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে হারিয়ে এলিমিনেশন ম্যাচ পার করলেও দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে হেরে বিদায় নেয় কিংসের কাছেই।