সাবেক সান্ডারল্যান্ড মিডফিল্ডার কিউবা মিচেল নিশ্চিত করেছেন যে, ক্লাব ছাড়ার পর তিনি বিদেশে (ইংল্যান্ডের বাইরে) যাওয়ার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছেন। ইংলিশ ক্লাবটির যুব দলে নিয়মিত খেলা এই মিডফিল্ডার এবার ক্লাব ছাড়ার পর নতুন ক্লাব খুঁজছেন এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে মুখ খুলেছেন।
১৮ বছর বয়সী মিচেল সান্ডারল্যান্ডের অনূর্ধ্ব-২১ দলে গ্রায়েম মার্টির অধীনে নিয়মিত খেলেছেন, তবে সিনিয়র দলে সুযোগ না পাওয়ায় তাকে ছাড়পত্র দিয়েছে ক্লাব। তার সাথে আরও কয়েকজন তরুণ খেলোয়াড়—বেন ক্রম্পটন, কেডেন কেলি এবং কেলেচি চিবুয়েজেকেও ছেড়ে দিয়েছে ক্লাবটি।
মিচেল জানিয়েছেন, তিনি খুব শিগগিরই বাংলাদেশের জাতীয় দলের সঙ্গে যোগ দিতে চেয়েছিলেন, তবে নিবন্ধন প্রক্রিয়া কয়েক ঘণ্টা দেরি হওয়ায় এখন তাকে অক্টোবর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, “আমাকে আসলে গত কয়েক সপ্তাহে বাংলাদেশে যাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু আমার নিবন্ধন মাত্র কয়েক ঘণ্টা দেরিতে জমা পড়ায় যাওয়া হয়নি। এখন অক্টোবরের জন্য অপেক্ষা করছি।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ দলে ডাক পাওয়া ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে, যা আমার জন্য ইতিবাচক। এটা আমার জন্য অনেক দরজা খুলে দিতে পারে। এখন ভাবছি ইংল্যান্ডে থেকেই কোনো ক্লাব খুঁজবো, নাকি বিদেশে যাবো। আমার ক্যারিয়ারের জন্য যেটা ভালো হবে, সেটাই চূড়ান্ত করবো।”
মিচেল বলেন, “আমি এমন একটা ক্লাব খুঁজছি যারা আমাকে খেলার সুযোগ দেবে, যারা বল ধরে খেলতে চায় এবং তরুণ খেলোয়াড়দের ওপর আস্থা রাখে। যদি এমন কোনো সুযোগ পাই, তাহলে সেটা আমার জন্য আদর্শ হবে। শুধু জাতীয় দলে খেলার অভিজ্ঞতাটাই জীবনে একবার ঘটে এমন ব্যাপার—অনেক খেলোয়াড়েরই এমন সুযোগ হয় না, বিশেষ করে যারা এখনো সিনিয়র দলে সেভাবে সুযোগ পায়নি।”
মিচেল জানিয়েছেন, তিনি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ইংলিশ ফুটবলার হামজা চৌধুরীর সাথেও যোগাযোগ করেছেন, “আমি হামজা চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করেছি এবং বাংলাদেশে খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলেছি। সেখানকার সমর্থন অসাধারণ, আমি দারুণভাবে অপেক্ষা করছি মাঠে নামার জন্য।”
২০২২ সালে বার্মিংহাম সিটির একাডেমি থেকে সান্ডারল্যান্ডে যোগ দেন কিউবা মিচেল। এরপর অনূর্ধ্ব-১৮ দল থেকে উন্নীত হয়ে অনূর্ধ্ব-২১ দলে নিয়মিত হন। ২০২৪/২৫ মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগ ২-এ ৭টি ম্যাচ খেলে ১টি অ্যাসিস্ট করেন।