ফুটবলে দারুণ ব্যস্ত সময় পার করছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। সিনিয়র থেকে বয়সভিত্তিক সব পর্যায়েই সাফল্যের ধারা বজায় রাখতে মাঠে লড়াই চলছে সমানতালে। লাওসে এএফসি অ-২০ বাছাই শেষে মাত্র দুই দিনের বিরতিতেই এবার অ-১৭ দল নামছে সাফ মিশনে। তবে ভুটান সফরের আগে সংবাদ সম্মেলনে ফুটবলারদের পাঙাস খাওয়ানোর প্রসঙ্গ ফের আলোচনায় উঠে এসেছে।

বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল সম্প্রতি টানা টুর্নামেন্টে ব্যস্ত সময় পার করছে। সিনিয়র দল মিয়ানমারে এশিয়ান কাপ বাছাই শেষে খেলেছে সাফ অ-২০। অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই লাওসে এএফসি অ-২০ নারী টুর্নামেন্টের বাছাইয়ে খেলে এশিয়া কাপ নিশ্চিত করেছে দল। দেশে ফেরার দুই দিনের মধ্যে এবার ভুটান যাচ্ছে অ-১৭ দল, সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ খেলতে।

অ-২০ দলের হেড কোচ পিটার বাটলার বর্তমানে ইংল্যান্ডে ছুটিতে থাকায় অ-১৭ দলের দায়িত্ব পেয়েছেন মাহবুবুর রহমান লিটু। দীর্ঘদিন নারী দলের সঙ্গে কাজ করলেও হেড কোচ হিসেবে তার সুযোগ এসেছে কালেভদ্রে। শিরোপার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী লিটু বলেন, “আমরা টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন। আশা করি এবারও ভালো কিছু হবে। সবাই দোয়া করবেন।”

ভুটানের চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে ২০-৩১ আগস্ট হবে চার দলের এই আসর। ভারত, ভুটান, নেপাল ও বাংলাদেশ খেলবে ডাবল রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে। ছয় ম্যাচ শেষে সর্বোচ্চ পয়েন্ট পাওয়া দল হবে চ্যাম্পিয়ন। দলে নতুন মুখ আটজন, যাদের আন্তর্জাতিক অভিষেক হবে এই আসরে। বাকি ১৫ জনের সাফ টুর্নামেন্ট খেলার অভিজ্ঞতা আছে।

এরই মধ্যে আজ দলের সংবাদ সম্মেলনে হঠাৎ আলোচনায় আসে নারী দলের ক্যাম্পে পাঙাস মাছ খাওয়ানোর অভিযোগ। স্পনসর ঢাকা ব্যাংক ছয় বছর ধরে নারী ফুটবলের পৃষ্ঠপোষক হলেও, অভিযোগ নিয়ে আবার কথা ওঠে। নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ পুনরায় জানান, “ফুটবলারদের পাঙাস খাওয়ানো হয় না।” এরপর অ-১৭ দলের অধিনায়ক অর্পিতা বিশ্বাসকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, “আমাদের পাঙাস খাওয়ানো হয় না।”

Previous articleনারী ফুটবলে জেলা ভেদে বৈষম্য, সিলেট থেকে খেলোয়াড় নেই জেএফএ অ-১৪ টুর্নামেন্টে
Next articleএএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার অপেক্ষায় ৫ বাঘিনী!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here