অফ সিজন কিংবা মৌসুমের বিরতিতে জাতীয় দলের অনেক ফুটবলারকে দেখা যায় স্থানীয় পর্যায়ের টুর্নামেন্টে খেলতে। সামাজিক মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনাও কম হয় না। কিন্তু জাতীয় দলের অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার রহমত মিয়ার মতে, সামাজিক ও রাজনৈতিক বাস্তবতার কারণেই তাদের এমন টুর্নামেন্টে খেলতে হয়।

জাতীয় ফুটবল দলের অনুশীলন সেশনে আজ রহমত মিয়াকে স্থানীয় টুর্নামেন্ট খেলা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। জবাবে তিনি বলেন,

“যখন আমরা এলাকাতে থাকি, তখন এলাকার যারা গণ্যমান্য ব্যক্তিরা আছেন তারা চান যে ন্যাশনাল টিমের প্লেয়াররা যেন তাদের মাঠে খেলে। আমার মনে হয়, সামাজিক এবং রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করেই প্লেয়ারদের বাধ্য হতে হয় নিজের মাঠে খেলতে।”

স্থানীয় পর্যায়ের টুর্নামেন্টের মাঠগুলো প্রায়ই হয় এবড়ো-থেবড়ো, ইনজুরির ঝুঁকিও থাকে অনেক। আবার খোলা মাঠে নিরাপত্তা নিয়েও থাকে প্রশ্ন। তবে এ নিয়ে খানিকটা ভিন্নমত রহমতের—

“লোকাল টুর্নামেন্টে কে ইনজুরিতে পড়ছে সেটা আমি জানি না। ফেডারেশন যেহেতু একটা স্টেটমেন্ট দিয়েছে, তাই বিষয়টা সোশাল ও পলিটিক্যাল দিক দিয়েই দেখতে হবে।”

 

বসুন্ধরা কিংসের ফুটবলাররা বর্তমানে খেলছেন এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে। তারা এবং প্রধান কোচ হাভিয়ের কাবরেরা ৪ নভেম্বর দলের সঙ্গে যোগ দেবেন। এই সময়ে অনুশীলন নিয়ে রহমতের মত,

“বসুন্ধরা খেলতেছে, কিন্তু অন্য ক্লাবের প্লেয়ারদের খেলা নেই এখন। তো তাদের বসিয়ে রাখার চেয়ে প্র্যাকটিসে রাখা ভালো। এতে ফিটনেস ঠিক থাকবে।”

এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশের সামনে আর সুযোগ নেই, তবে ভারতের ও সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে দুই ম্যাচ এখন নিয়মরক্ষার। এই ম্যাচে নিবেদন কতটা থাকবে, জানতে চাইলে রহমতের স্পষ্ট উত্তর,

“কমিটমেন্টের জায়গা থেকে কেউই পিছু হটে না। সুযোগ নেই ঠিক, কিন্তু দুই ম্যাচে ভালো করার সুযোগ আছে—সেটা সবাই নেবে।”

ডিফেন্সের ভুল নিয়েও প্রশ্ন ওঠে প্রায়ই। রহমত মিয়া বলেন,

“ফুটবলে গোল হবেই, ভুলও থাকবে। চেষ্টা করি ভুল কম করতে।”

বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত অ্যাওয়ে ম্যাচে এক পয়েন্ট করে পেলেও হোম ম্যাচে হেরেছে। সহকারী কোচ মামুনের মতে, এটা ব্যতিক্রম,

“পরিসংখ্যান বলে আমরা হোমে ভালো খেলি, অ্যাওয়েতে খারাপ। এখন উল্টোটা হচ্ছে, হয়তো সময়ের প্রভাব।”

Previous articleবাবা হয়েছেন কাবরেরা, ছুটিতেও থেমে নেই দলের প্রতি নজর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here