আজ হয়তো অন্যরকম এক প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখতে পারতো বাংলাদেশ, কিন্তু গোল মিসের মহড়ায় সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারে নি লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। আজকের দিনটা হতে পারো হামজা-শোমদের, তবে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ২-১ গোলের পরাজয়ে ঘরের মাঠে পয়েন্ট বঞ্চিত থাকলো বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল।
ম্যাচের ৯ মিনিটের মাথায় এগিয়ে যেতে পারতো সিঙ্গাপুর দল। গোলের সুযোগটা পেয়েছিলো সিঙ্গাপুরের সং উইইয়াং। কিন্তু বলে ঠিক সময়ে শট নিতে না পারায় বল জালে প্রবেশ করার বিপরীতে পোস্টের বাইরে দিয়ে চলে যায়। বাংলাদেশের কাছে প্রথম সুযোগটা আসে ১৫ তম মিনিটে। তবে সাকিল আহাদ তপুর পাসে রাকিব হোসেনের দুর্বল শট আটকাতে সিঙ্গাপুরের গোলরক্ষককে বড় কোনো চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয় নি। ৩০ মিনিটে সিঙ্গাপুরের ইখসান ফান্দির শট আটকে বাংলাদেশকে গোল হজমের হাত থেকে বাঁচিয়ে দেন বাংলাদেশের গোলপোস্টর অতন্দ্র প্রহরী মিতুল মারমা।
তবে প্রথমার্ধের শেষ সময়ে গোল হজম করে বাংলাদেশ। ডিবক্সের সামনে থেকে আসা প্রতিপক্ষের থ্রু বল ধরতে নিজের জায়গা ছেড়ে এগিয়ে আসেন মিতুল। বল ধরতে গিয়ে পড়ে গিয়ে পরে গোলবারে পজিশন নেওয়ার আগেই ডান প্রান্ত থেকে সিঙ্গাপুরকে লিড এনে দেন উইইয়াং। হামজা শেষে বল আটকাতে ব্লক করার চেষ্টা করলেও তাতে ফলাফল পরিবর্তন হয় নি। এতে করে ১-০ তে এগিয়ে প্রথমার্ধের খেলা শেষ করে ক্যাবরেরার শিষ্যরা।
দ্বিতীয়ার্ধে সহজে লিড বাড়িয়ে নেয় সিঙ্গাপুর; ৫৯ মিনিটে সিঙ্গাপুরের হয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন ইখসান ফান্দি। ৬৭ তম মিনিটে ম্যাচে ফেরার আভাস দেয় বাংলাদেশ জাতীয় দল। হামজা চৌধুরীর পাস থেকে বাংলাদেশের গোলটি আদায় করে নেন রাকিব হোসেন। শেষের দিকে বেশ কিছু আক্রমণ করেছিল বাংলাদেশ। তবে সমতায় ফেরার গোলটা পায়নি স্বাগতিকরা। যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে সমতায় ফেরার সুযোগ পেয়েছিলেন ফাহিম। কিন্তু বক্সের মধ্যে থেকে যে শটটা নিলেন ফাহিম তা গোলপোস্ট থেকে অনেক দূর দিয়ে। যোগ করা সময়ের ষষ্ঠ মিনিটেও সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। তবে হামজার শট ডান পোস্টের বাইরের জালে যায়।একদম শেষ দিকে মোরসালিনের ক্রসে তারিক কাজীর হেড অল্পের জন্য গোল হয়নি। ফিলিপাইনের রেফারির শেষ বাঁশির সঙ্গে নিশ্চিত হয়ে যায় বাংলাদেশের হারও।