পরিবর্তনের হাওয়া বইছে বাংলাদেশের ফুটবলে। হামজা চৌধুরী, শমিত সোমের মত তারকারা এসে পাল্টে দিচ্ছেন দলের চেহারা। একইসঙ্গে তাদের আগমনে বাড়ছে লাল-সবুজের ব্র্যান্ড ভ্যালু। আর সে ব্র্যান্ড ভ্যালু কাজে লাগিয়ে আসছে সেপ্টেম্বরের ফিফা উইন্ডোতে প্রীতি ম্যাচে ইউরোপের কোন দেশকে প্রতিপক্ষ হিসেবে চায় বাফুফে। কিন্তু ওই সময় কাদের সাথে প্রীতি ম্যাচ খেলার সুযোগ রয়েছে?
সেপ্টেম্বরের আন্তর্জাতিক উইন্ডো সামনে রেখে যদি বাংলাদেশ ইউরোপের কোনো দলের সঙ্গে প্রীতি ম্যাচ খেলতে চায় তাহলে এখনই উদ্যোগ নেওয়ার বিকল্প নেই। কারণ ওই সময়ে ইউরোপের প্রায় সব দেশ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে অংশগ্রহণ করবে। ফলে প্রতিযোগিতামূলক ব্যস্ত সূচির কারণে অধিকাংশ ইউরোপীয় দলের সঙ্গেই প্রীতি ম্যাচের সম্ভাবনা একরকম বন্ধই বলা চলে।

তবে এখনও হাতে বেশ কয়েকটি দেশ রয়েছে যাদের সঙ্গে চেষ্টা করলে ম্যাচ আয়োজন সম্ভব। এখনও যে কয়েকটি দলের সঙ্গে খেলার সুযোগ রয়েছে, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য নামগুলো হলো: আলবেনিয়া (র্যাঙ্কিং ৬৬), নর্থ মেসিডোনিয়া ( ৬৭), মাল্টা (র্যাঙ্কিং ১৬৯), জিব্রাল্টার (র্যাঙ্কিং ১৯৬) ও সান ম্যারিনো (র্যাঙ্কিং ২১০)।
কাগজে কলমে মাল্টা বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে থাকলেও জিব্রাল্টার ও সান ম্যারিনো পিছিয়ে রয়েছে। তবে খেলার মান ও প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথা বিবেচনা করলে তারাও বেশ শক্ত প্রতিপক্ষ হয়ে উঠতে পারে। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায়, আফ্রিকার সবচেয়ে নিচের সারির দল সেশেলসের বিপক্ষেও ঘরের মাঠে হারতে হয়েছে। তাই কাগজে-কলমে দুর্বল প্রতিপক্ষ মনে হলেও, মাঠে তারা হালকাভাবে নেওয়ার মতো নয়।

তবে বাফুফে চাইলে আরও বড় স্বপ্নও দেখতে পারে। আলবেনিয়া ও নর্থ মেসিডোনিয়ার মত দেশ এই উইন্ডোতে ব্যস্ত নয়। তাই তাদের মত দেশের বিপক্ষে খেলতে পারলে, হার-জিতের হিসাব ছাড়াও দলের মধ্যে একটি আত্মবিশ্বাস তৈরি হতে পারে, বাড়তে পারে আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা। কিন্তু এসব কিছুই বাস্তবায়ন করতে হলে দরকার সাহসী সিদ্ধান্ত আর তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ।
বাফুফের উচিত খুব দ্রুত এই দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করা। কারণ অপেক্ষা করলে দেখা যাবে, তারাও অন্য কোনো দেশের সঙ্গে ম্যাচ চূড়ান্ত করে ফেলেছে। এখন সময়ই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। সাহসী সিদ্ধান্ত আর সঠিক পরিকল্পনা থাকলে ইউরোপের মাটিতে শক্ত প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হয়ে দল গঠনের কাজকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিতে পারে বাংলাদেশ।