এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ফিরতি লেগ খেলতে হংকং রওনা হয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। শুক্রবার (১০ অক্টোবর) দুপুর দেড়টায় থাই এয়ারওয়েজের ফ্লাইটে ৩৪ সদস্যের কন্টিনজেন্ট দেশ ছেড়েছে। গতকাল ঢাকায় অনুষ্ঠিত হোম ম্যাচের চূড়ান্ত স্কোয়াডে থাকা ২৩ জনই হংকং যাচ্ছেন।
শেষ মুহূর্তে কিছুটা নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরি হয় ফাহমিদুলের কারণে। দলের ফ্লাইট ছাড়ার দেড় ঘণ্টা আগে তিনি হাতে পান নিজের পাসপোর্ট। গতকাল দলের সবার ভিসা সম্পন্ন হলেও ফাহমিদুলের পাসপোর্ট তখনও চীনা দূতাবাসে ছিল। কারণ, ইতালি থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে ফেরার পর বাফুফে তার পাসপোর্ট ভিসার জন্য জমা দিয়েছিল। এতে খানিকটা বিলম্ব ঘটে।
হামজা চৌধুরী, সামিত সোম ও জায়ান আহমেদের যথাক্রমে ইংল্যান্ড, কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের পাসপোর্ট থাকায় তাদের ভিসার প্রয়োজন হয়নি। কিন্তু ফাহমিদুলের শুধুমাত্র বাংলাদেশি পাসপোর্ট থাকায় ভিসা ছাড়া তার পক্ষে যাত্রা সম্ভব ছিল না। শুক্রবার ছুটির দিনেও চীনা দূতাবাস বিশেষ ব্যবস্থায় দ্রুত তার পাসপোর্ট হস্তান্তর করে। বাফুফের এক স্টাফ সকাল সাড়ে ১১টায় দূতাবাস থেকে পাসপোর্ট সংগ্রহ করে দুপুর বারোটার মধ্যে বিমানবন্দরে পৌঁছে দেন।
দলটি ব্যাংককে যাত্রাবিরতি শেষে হংকং সময় রাত ১০টায় পৌঁছাবে। শনিবার থেকেই অনুশীলনে নামবে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। ১৪ অক্টোবর ফিরতি ম্যাচে হংকংয়ের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।
আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী, স্বাগতিক দেশ সফরকারী দলকে ম্যাচের ৪৮ ঘণ্টা আগে অনুশীলনের সুযোগ দিতে বাধ্য নয়। এর আগেও ভারতে অ্যাওয়ে ম্যাচে এমন বিড়ম্বনায় পড়েছিল বাংলাদেশ দল।
দেশ ছাড়ার আগে দলের ম্যানেজার আমের খান বলেন,
“স্বাগতিক দল তো কিছু সুবিধা নেবেই। হংকং অভিযোগ তুলেছিল আমরা নাকি রাস্তায় যানজট সৃষ্টি করেছি। ম্যাচ কমিশনার মিটিংয়ে বিষয়টি পরিষ্কার করা হয়েছে যে, ঢাকার মতো বড় শহরে যানজট স্বাভাবিক ব্যাপার।”
হংকং দল যেখানে গতরাতে চার্টার্ড ফ্লাইটে দেশে ফিরেছে, সেখানে বাংলাদেশ দলকে যেতে হয়েছে নিয়মিত বাণিজ্যিক ফ্লাইটে। তবে সব জটিলতা কাটিয়ে এবার লাল-সবুজদের লক্ষ্য একটাই—জয়ের মাধ্যমে এশিয়ান কাপের স্বপ্ন টিকিয়ে রাখা।