বাংলাদেশ ফুটবলে এক নতুন যুগের সূচনা হতে যাচ্ছে, যেখানে ইংল্যান্ড প্রবাসী হামজা চৌধুরী জাতীয় দলের জার্সিতে প্রথমবার মাঠে নামবেন। তার অন্তর্ভুক্তি বাংলাদেশ ফুটবলের জন্য এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে, যা সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক আশার সঞ্চার করেছে।
হামজা চৌধুরী ইংল্যান্ডের জাতীয় বয়সভিত্তিক দলে খেলার পাশাপাশি ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দল লেস্টার সিটি ও ওয়াটফোর্ডের হয়ে খেলেছেন। বর্তমানে তিনি ধারে ইংল্যান্ডের চ্যাম্পিয়নশিপ দল শেফিল্ড ইউনাইটেডে খেলছেন। তার অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা বাংলাদেশের ফুটবলকে নতুন মাত্রা যোগ করেছে ।
সাবেক বসুন্ধরা কিংস ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের অন্তর্বর্তিকালীন কোচ অস্কার ব্রুজন হামজার অন্তর্ভুক্তিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। বর্তমানে ভারতের ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের কোচ অস্কার অবশ্য সতর্ক করেছেন যে একজন খেলোয়াড় পুরোপুরিভাবে একটি দলকে পরিবর্তন করতে পারে না। ভারতের গণমাধ্যম ‘টাইমস অফ ইন্ডিয়া’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন,
‘একজন খেলোয়াড় পুরোপুরিভাবে একটি দলকে পরিবর্তন করতে পারে না, তবে এটি সত্য যে হামজার অন্তর্ভুক্তি দলের প্রত্যাশা ও আত্মবিশ্বাস বাড়াবে।’
অস্কার ব্রুজন মনে করেন, হামজার অন্তর্ভুক্তি মানসিকভাবে বাংলাদেশকে এগিয়ে রাখবে। তিনি বলেন,
‘যখন দলে একজন প্রিমিয়ার লিগ খেলা ফুটবলার থাকে, তখন দলের খেলার মান বৃদ্ধি পায় এবং অন্য খেলোয়াড়রাও নিজেদের সেরাটা দিতে অনুপ্রাণিত হয়।’
তবে হামজার সম্পূর্ণ সম্ভাবনা কাজে লাগাতে ট্যাকটিক্যাল কিছু পরিবর্তনের পরামর্শ দিয়েছেন ব্রুজন। তিনি বলেন,
‘বাংলাদেশের শারীরিকভাবে শক্তিশালী খেলোয়াড় আছে, তবে তাদের মধ্যমাঠে সৃজনশীলতার অভাব রয়েছে। হামজা সেন্টার ব্যাক ও ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হিসেবে খেলতে পারে, তবে আমার মতে তাকে আরো আক্রমণাত্মক পজিশনে ব্যবহার করা উচিত।’
অস্কার ব্রুজন বাংলাদেশের ফুটবলে পাঁচটি শিরোপা জিতেছেন, ফলে বাংলাদেশের ফুটবল নিয়ে তার পর্যবেক্ষণ যথেষ্ট মূল্যবান। হামজার অন্তর্ভুক্তি বাংলাদেশের জন্য কতটা ফলপ্রসূ হবে, তা মাঠেই প্রমাণ হবে, তবে তার আগমন যে নতুন আশার সঞ্চার করেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।