বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের অন্যতম আক্রমণভাগের ভরসা রাকিব হোসেন চান, ভারতকে হারিয়ে সতীর্থদের সঙ্গে বিশেষ এক উপহার দিতে—নতুন দলে যোগ দেওয়া হামজা চৌধুরীকে।
ঢাকা ও শিলংয়ে মাত্র দুই দিনের অনুশীলন সঙ্গী হলেও হামজা দ্রুতই দলের সাথে মানিয়ে নিয়েছেন। পুরো শিবিরেই ছিল প্রাণবন্ত উচ্ছ্বাস, যা দলের মনোবলকে আরও উঁচুতে নিয়ে গেছে। সেই উদ্দীপনাকে এবার মাঠে দেখানোর অপেক্ষা। আগামী শনিবার জওহরলাল নেহেরু স্টেডিয়ামে এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের তৃতীয় রাউন্ডে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ, যেখানে জয়ই হতে পারে হামজার জন্য সেরা উপহার।
আজ নর্থ ইস্টার্ন হিল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ দল। সেখানে দলের সবাইকে দেখা গেছে প্রাণবন্ত মেজাজে, বিশেষ করে হামজাকে ঘিরে বাড়তি উৎসাহ। নতুন সতীর্থদের সঙ্গে তার বোঝাপড়ার অভাব খুব একটা বোঝা যায়নি, বরং স্বস্তির ছাপ ছিল পুরো দলের মধ্যে।
শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে লড়াইয়ের আগে রাকিবের কণ্ঠে ছিল আত্মবিশ্বাসের সুর। দলের গোলের দায়িত্ব যে তার কাঁধেই বেশি, তা ভালো করেই জানেন তিনি। রাকিব বলেন, “হামজা ভাইয়ের থাকা আমাদের জন্য বিশাল অনুপ্রেরণা। তিনি প্রথমবারের মতো দলে এসেছেন, তাই আমরা চাই তাকে ভালো একটা ম্যাচ উপহার দিতে। আমাদের লক্ষ্য থাকবে জয় ছিনিয়ে আনা।”
গোল করার দুর্বলতাগুলো কাটিয়ে উঠতে বাড়তি মনোযোগ দিয়েছে দল। আগের ম্যাচগুলোর সুযোগ মিসের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়েছে বাংলাদেশ। রাকিব জানালেন, “আমরা জানি, জিততে হলে গোল করতেই হবে। তাই ফরোয়ার্ডরা বাড়তি মনোযোগ দিচ্ছে, অনুশীলনেও এটাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।”
ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক স্মৃতিতে মিশে আছে সাফল্য ও হতাশা। ২০১৯ সালে কলকাতায় জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেও শেষ মুহূর্তে গোল হজম করে ড্র করেছিল বাংলাদেশ। এরপর ২০২১ সালের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপেও ১-১ গোলে ড্র করে দল। তবে এবার রাকিব চান জয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে।
তিনি বলেন, “ভারতের বিপক্ষে আমি আগেও দুটি ম্যাচ খেলেছি, তাদের সঙ্গে আমাদের ম্যাচ সবসময় প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়। ওরা শক্তিশালী দল, কিন্তু আমরাও আগের চেয়ে ভালো এবং গোছালো। আমাদের লক্ষ্য থাকবে সেরা ফুটবল খেলা এবং জয় তুলে নেওয়া।”
বাংলাদেশের জন্য এই ম্যাচ শুধু এশিয়ান কাপের বাছাই পর্ব নয়, বরং নতুন এক সম্ভাবনার দুয়ার। দল হিসেবে উন্নতির ছাপ দেখানোর পাশাপাশি নতুন সতীর্থ হামজার আগমনকে জয় দিয়ে স্মরণীয় করে রাখতে চায় জামাল-রাকিবরা।