ভুটানের বিপক্ষে বাংলাদেশের সব চাওয়াই পূরণ হয়েছে, জয়ের পাশাপাশি হামজা চৌধুরীর গোল সবকিছুই যেন একেকটা সাফল্য বাংলাদেশের জন্য। শুরু থেকে স্বাগতিক বাংলাদেশ ভুটানকে চাপে রাখছিলো। নামে ভারে এগিয়ে থাকা বাংলাদেশ দল তার পরিচয় মাঠে দিয়ে যাচ্ছিলো। ভুটানও ম্যাচে খুব একটা সুবিধা করে উঠতে পারছিলো না। ফলাফলটাও এলো বাংলাদেশের পক্ষে, ২-০ গোলের দারুন এক জয়।
৬ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় ম্যাচে নেমেই গোল করেন বাংলাদেশের পোস্টার বয় হামজা চৌধুরী। অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার কর্ণার কিক থেকে আসা বল টার্গেট রান মেইক করে নিজেকে আনমার্কড করে বেরিয়ে আসেন হামজা, এরপর ঠিকঠাক এক হেড এবং তাতেই গোল করেন।
৩০ মিনিটে দ্বিতীয় গোল পেতে পারতো বাংলাদেশ। তবে জামাল ভূঁইয়া শটে জোর থাকলেও বল দিক ঠিক ছিলো না; ফলে গোল পোস্টের পাশ দিয়ে চলে যায়। ৩৬ মিনিটে আবারো সুযোগ হাতছাড়া করেন জামাল ভূঁইয়া। মাঠের ডানদিক থেকে তাজউদ্দিনকে ক্রসে একেবারে ফাঁকায় থাকা জামাল ভূঁইয়া পেয়ে যান। তবে বল পেয়ে শট করলেও ভুটানের ডিফেন্ডারের ব্লকে আটকে যায় বল। পরবর্তীতে আর গোল নাহলে ১-০ তে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করে বাংলাদেশ।
১-০ তে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে শুরুতে ভুটানের গোলপোস্ট কাঁপিয়ে দেন সোহেল রানা। বক্সের বাইরে থেকে ডান পায়ে বল রিসিভ করে বামপায়ে দুর্দান্ত এক শট নেন সোহেল; ভুটানের গোলরক্ষক বলের ফ্লাইটকে লক্ষ্য করে লাফ দেন। কিন্তু বল সোজা জালে প্রবেশ করলে ২-০ তে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ।
৭৭ মিনিট ম্যাচে ফিরতে পারতো ভুটান, কর্ণার কিক থেকে বল বক্সের ভিতরে আসলে ইয়াসিগিলসেন বলে হেড করেন। তবে তার বল বারের পাশ কাটিয়ে চলে গেলে সেই মাত্রায় বেঁচে যায় বাংলাদেশ। রেগুলেশন টাইম দুইদলের কেউই গোল করতে পারেনি, ফলে ২-০ তে জয় বাংলাদেশ।
১-০ তে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে শুরুতে গোলের সুযোগ পেয়েছিলো; ফাহমিদুলের ক্রস থেকে বল পেয়ে গোলকিপার বরাবর শট করেন, তাতে সহজেই বলটা লুফে নেন ভুটানের গোলরক্ষক।
তবে পরের মুহুর্তে ভুটানের গোলপোস্ট কাঁপিয়ে দেন সোহেল রানা। বক্সের বাইরে থেকে ডান পায়ে বল রিসিভ করে বামপায়ে দুর্দান্ত এক শট নেন সোহেল; ভুটানের গোলরক্ষক বলের ফ্লাইটকে লক্ষ্য করে লাফ দেন। কিন্তু বল সোজা জালে প্রবেশ করলে ২-০ তে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ।
৭৩ মিনিট ভুটান কিছুটা বিপদ তৈরি করেছিলো। জেংপোর ফ্রি কিক থেকে উড়ে আসা বল সোজা গোলে প্রবেশ করতে চাইলে লাফিয়ে বলকে গোলপোস্টের উপর দিয়ে পার করে দেন গোলরক্ষক মিতুল মারমা।
মিনিট চারেক পর ম্যাচে ফিরতে পারতো ভুটান, কর্ণার কিক থেকে বল বক্সের ভিতরে আসলে ইয়াসিগিলসেন বলে হেড করেন। তবে তার বল বারের পাশ কাটিয়ে চলে গেলে সেই মাত্রায় বেঁচে যায় বাংলাদেশ। শেষের দিকে নিজের জাত চেনান বাংলাদেশের গোলরক্ষক মিতুল মারমা। বক্সের ভেতরে সতীর্থের বাড়ানো বল জিংপে নামজেল মিতুলকে একা পেয়ে যান, শটও নেন; তবে মিতুল বলকে ঠিকই আটকে দেন। রেগুলেশন টাইম দুইদলের কেউই গোল করতে পারেনি, ফলে ২-০ তে জয় পায় বাংলাদেশ।