১৩ আগস্ট জাতীয় ফুটবল দলের ক্যাম্প শুরু হলেও পূর্ণাঙ্গ অনুশীলন হয়েছে গতকাল (৩১ আগস্ট) প্রথমবার। বসুন্ধরা কিংস ১০ জন ফুটবলার ছেড়ে দেওয়ায় পুরো স্কোয়াড নিয়ে প্র্যাকটিসে নামতে পেরেছেন কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা। তবে মাঠের চেয়ে বাইরে বেশি আলোচনায় ছিল হামজা দেওয়ান চৌধুরীর প্রসঙ্গ।
আগামী ৬ ও ৯ সেপ্টেম্বর নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। এর জন্য ৩ সেপ্টেম্বর দল দেশ ছাড়বে। হামজা এই উইন্ডোতে খেলবেন কি না— এখনো অনিশ্চিত। কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা এ বিষয়ে বলেন, ‘এটা ম্যানেজমেন্টের বিষয়। তারা দেখছে। দল নেপাল সফরের জন্য প্রস্তুত। হামজা যদি শেষ পর্যন্ত না আসেন, সমস্যা হবে না।’
তবে জাতীয় দলের সিনিয়র ফুটবলার তপু বর্মণ মনে করেন, হামজা না থাকলে কিছুটা ঘাটতি থেকে যাবে, ‘আমাদের অনেক কিছুই শুরু হয় হামজাকে নিয়ে। সে চেষ্টা করছে আসার। যদি শেষ পর্যন্ত না পারে, আমাদের মানিয়ে নিতে হবে।’
ফেডারেশন জানিয়েছে, নিয়ম অনুযায়ী জাতীয় দলের জন্য ক্লাবকে ফুটবলার ছাড়তেই হবে। কিন্তু হামজাকে নিয়ে এখনো ধীরে-চলো নীতি নিয়েই এগোচ্ছে বাফুফে। ম্যানেজার আমের খান জানান, হামজার সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ চলছে, তিনিও বিষয়টি দেখছেন।
৯ অক্টোবর হংকংয়ের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাই খেলবে বাংলাদেশ। তার প্রস্তুতির অংশ হিসেবেই নেপালের দুই ম্যাচ। প্রতিপক্ষের মান নিয়ে সমালোচনা থাকলেও তপু বর্মণ এটিকে কাজে লাগানো ম্যাচ হিসেবে দেখছেন, ‘নেপাল ও হংকংয়ের খেলার ধরণ প্রায় একই। দু’দলই লো ব্লক ডিফেন্সে খেলে। তাই নেপাল ম্যাচ হংকংয়ের প্রস্তুতিতে কাজে লাগবে।’
ম্যাচ ভেন্যু নিয়ে খানিকটা শঙ্কা থাকলেও শেষ পর্যন্ত কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামেই আয়োজন হবে প্রীতি ম্যাচের।