জাতীয় দলের ক্যাম্পে আগামীকাল যোগ দেবেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ তারকা হামজা চৌধুরী, আর পরের দিন আসবেন কানাডা প্রবাসী ফুটবলার শমিত সোম। এই দুইজনকে ছাড়াই ২৮ জনকে নিয়ে অনুশীলন শুরু করেছিলেন হেড কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। তবে চোটের কারণে ক্যাম্প থেকে ছিটকে গেছেন উইঙ্গার মোহাম্মদ ইব্রাহীম ও ফরোয়ার্ড সুমন রেজা।
রোববার অনুশীলনের ফাঁকে কাবরেরা জানান,“সুমন আর ইব্রাহিম দুজনই ভালো অবস্থায় এসেছিল। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি যেন ওরা সময়মতো চোট কাটিয়ে ওঠে, কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি। তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে এবং ক্লাবে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে—যেখানে তারা পুনর্বাসন প্রক্রিয়া চালিয়ে যাবে।”
তবে গুরুতর নয় বলে এখনও ক্যাম্পে আছেন তারিক কাজী, তপু বর্মণ ও আল আমিন। তাদের নিয়ে আশাবাদী কোচ বলেন,“তারিক, তপু ও আল আমিনের ব্যাপারে আমরা আশাবাদী। তারিক আর আলামিন আজই অনুশীলনে ফিরবে, আশা করি তপুও খুব শিগগিরই ফিরবে।”দল চোটজর্জর দেখেই কাবরেরা ২৯ সদস্যের স্কোয়াডে নতুন করে যুক্ত করেছেন মোহামেডানের ডিফেন্ডার জাহিদ হোসেন শান্তকে।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয় জাতীয় দলের ক্যাম্প। প্রথম দিন হোটেলে রিপোর্ট করেন ২০ জন ফুটবলার, যাদের নিয়েই পরদিন থেকে জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুশীলন শুরু হয়। পরে মোহামেডানের আরও ৬ ফুটবলার যোগ দিলে ক্যাম্প পূর্ণতা পায়। একদিন বিরতির পর রোববার শুরু হয় দ্বিতীয় ধাপের অনুশীলন।
চোট সমস্যা থাকলেও দলের প্রস্তুতি নিয়ে সন্তুষ্ট কাবরেরা। তিনি বলেন,“অনুশীলন খুব ভালো চলছে। ক্যাম্পের দ্বিতীয় ধাপ শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত দলের অগ্রগতিতে আমি খুবই খুশি ও ইতিবাচক। সব ঠিকঠাক চলছে—আরও চারটি অনুশীলন সেশন বাকি আছে। বড় চ্যালেঞ্জের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত হওয়ার সময় এটা।”
মাঠের অনুশীলন নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন জাতীয় দলের উইঙ্গার রাকিব হোসেনও। এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের সর্বশেষ ম্যাচে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে গোল করেছিলেন তিনি। রোববার সাংবাদিকদের বলেন,“অনুশীলন ভালো হচ্ছে। মাঠের বাইরে যেমন ভিডিও সেশন ক্লাস হচ্ছে, মাঠে তেমনভাবে অনুশীলন চলছে। সামনে হামজা ও শমিত আসছে। ওরা এলে দলগতভাবে অনুশীলন করতে পারব, তখন আরও ভালো কিছু হবে।”
আগামী ৯ অক্টোবর হংকং, চায়নার বিপক্ষে জাতীয় স্টেডিয়ামে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের হোম ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। এরপর ১৪ অক্টোবর ফিরতি ম্যাচটি হবে হংকংয়ের মাটিতে।